ISIS Module: দেশের মাটিতে জেহাদি নাশকতার ছক বানচাল করল NIA, মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার ৩

শিশির গুপ্তা

ন্যাশানাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি শনিবার মধ্য়প্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেরর স্কোয়াডের সঙ্গে যৌথ অপারেশনে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের সঙ্গে আইএসআইএসের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

২৬ ও ২৭ মে সারারাত ধরে জব্বলপুরের অন্তত ১৩টি লোকেশনে অভিযান চলে। এরপরই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম সৈয়দ মামুর আলি, মহম্মদ আদিল খান ও মহম্মদ শাহিদ। তাদের ভূপালের এনআইএ স্পেশাল কোর্টে তোলা হয়। এনআইএ তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র, নানা ধরনের আপত্তিকর নথি ও ডিজিটাল ডিভাইস পেয়েছে।

এদিকে গত ২৪ মে মহম্মদ আদিল খানের নানা কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এনআইএ একটি মামলা দায়ের করেছিল। সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা আইএসআইএসের কার্যকলাপকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। এমনকী একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে এই ধরনের একটা ভাবধারা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

তদন্তে উঠে আসে ওরা দেশের অন্দরে নাশকতামূলক কাজ করা ছক কষা হচ্ছিল। স্থানীয় মসজিদে, বাড়িতেও তারা নানা ধরনের মিটিং করছিল বলে অভিযোগ। এজেন্সির তরফে বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। তদন্তে দেখা যায় ওই তিনজন জেহাদি কাজকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেকারণে তারা ফান্ড তৈরি করছিল। যুবদের নিয়োগ করার চেষ্টা করছিল। অস্ত্র, বিস্ফোরক জোগাড় করারও চেষ্টা করছিল তারা। কিন্তু তার আগেই সেই ছক বানচাল করে দিল এনআইএ।

এমনকী আদিল জব্বলপুর এলাকায় সমমনস্কদের এক ছাতার আনার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তার সম্পর্কে খোঁজ রাখছিল এনআইএ। এনআইএ সূত্রে খবর, মামুর আলি এলাকায় ফিসবিল্লাহ বলে একটা গ্রুপ তৈরি করেছিল। তারা একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপও তৈরি করেছিল। সম্প্রতি সে পিস্তল জোগাড় করার চেষ্টা করছিল।

অন্যদিকে আদিলও সমমনস্কদের নিয়ে গ্রুপ তৈরির চেষ্টা করছিল। এমনকী দেশের মাটিতে হিংসাত্মক জেহাদ করার চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তবে তার আগেই ভেস্তে দিল এনআইএ। এমনকী আদিল একাধিক হোয়াটস অ্য়াপ, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ISIS ভাবধারায় স্থানীয় যুবকদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছিল।