Offbeat Darjeeling: ফুরুনগাঁও, মাছ ধরা আর ময়ুর দেখা দুটোই হবে, কালিম্পংয়ের মন ভালো করা গ্রাম

সমতলে দিনের বেলা কাঠফাটা রোদ। তবে সন্ধ্যাবেলা কলকাতায় মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। তবে পাহাড়ের ছবিটা এখন কিন্তু বেশ মনোরম। এখনও সেভাবে একটানা ঝেঁপে বৃষ্টি হয়নি পাহাড়ে। এই সময় স্কুলেরও গরমের ছুটি আছে। পরিবার নিয়ে বেড়িয়ে পড়তে পারেন পাহাড়ের পথে।

ফুরুনগাও। আগে কোনদিন নাম শুনেছেন? কালিম্পংয়ের অফবিট ডেস্টিনেশন। পাহাড়ের ৪৫০০ ফুট উচ্চতায় ছোট্ট নির্জন সুন্দর গ্রাম। হাতেগোনা কয়েকটা পরিবারের বাস। এতদিন পর্যন্ত কেবলমাত্র জৈব চাষের উপর নির্ভরশীল ছিল এখানকার পরিবারগুলি। তবে ইদানিং এই গ্রামে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। দার্জিলিং এর অফবিটের তালিকায় গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়েছে ফুরুন গাও।

কালিম্পং থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম। এখান থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে রংলি নদী। ব্রেকফাস্ট করে সেখানে মাছ ধরতে যান। সারাদিন যে কিভাবে কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না। পাথরের উপর ধাক্কা খেয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী। সেখানেই দিনভর কাটিয়ে দিন।

এখান থেকে কাছেই পেডং।অনেকে এখান থেকে ঋষিখোলা, লাভা লোলেগাঁও ঘুরে আসেন।

অনেকে শুধু পাখি দেখার জন্য এই ফুরুংগাওতে আসেন। পাহার জঙ্গল মিলেমিশে একাকার এখানে। বলা যেতে পারে এখনো ভার্জিন এই পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকরা বলেন, ভাগ্য ভালো থাকলে এখানে ময়ূরের দেখা মেলে। ভাবুন তো কি অপূর্ব! এখান থেকে ছোট কয়েকটা ট্রেকিং রুট আছে।। ঘুরে আসতে খারাপ লাগবে না। সেই সঙ্গেই গ্রাম ঘুরে আসুন। পাহাড়ি মানুষের সহজ সরল জীবন। নাগরিক কলুষতা থেকে অনেক অনেক দূরে এই পাহাড়ি গ্রাম। দেখবেন অন্যরকম লাগবে। কোথাও কোন কৃত্রিমতা নেই। জঙ্গলের পথে মাঝেমধ্যে হরিণেরও দেখা মেলে। তবে এসব ভাগ্য ভালো থাকলে তবেই দর্শন মিলবে। তবে এসব বন্যপ্রাণকে দেখতে না পেলেও চারপাশে যে প্রকৃতিকে দেখবেন সেটাই মন ভালো করে দেবে।

মোটামুটিভাবে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত, আবার সেপ্টেম্বরে পর থেকে কয়েকটা মাস এখানে ঘুরে আসতে পারেন। বেশ আরামদায়ক আবহাওয়া থাকে।

এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসা যায় ফুরুন গাও। তবে কালিম্পং পর্যন্ত সরকারি বাসে এসে, সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে চলে আসতে পারেন ফুরুনগাও।