Kurmi agitation: অভিষেকের ডেডলাইন, কনভয়ে হামলার দায় নিল না কুড়মি নেতারা, তবে করল কে?

সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙুচরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কুড়মি সমাজের নেতারা জানিয়ে দিয়েছে এই ধরণের নাশকতামূলক ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই তারা জড়িত নন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে তাঁরা তাঁদের দাবি আদায় করবেন বলে জানিয়েছেন কুড়মি নেতারা। প্রশ্ন হল কুড়মি নেতার যদি কনভয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত না হন তবে হামলা করল কে?

অভিষেকের ডেডলাইন

কনভয় হামলার ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সময়সীমার মধ্যে কুড়মি সমাজের নেতাদের বিবৃতি দিয়ে জানাতে হবে তাঁরা জড়িত কি জড়িত নন। তিনি বলেন,’আপনারা যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি না দেন, তাহলে ধরে নেব এই ঘটনা কুড়মি সমাজ ঘটিয়েছে। আপনি আন্দোলন করছেন পাটকেল মেরে! তাহলে সিপিএমের হার্মাদ আর বিজেপির জহ্লাদদের সঙ্গে আপনাদের পার্থ‌ক‌্য কোথায়? আমি বিশ্বাস করি এই ঘটনার মধ্যে কুড়মি সমাজ নেই। তাদের মুখোশধারী কোনও রাজনৈতিক দল রয়েছে।’

অভিষেকের এই বার্তার পর ৪৮ ঘণ্টা কাটার আগেই পুলিশ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ।

কুড়মিদের সাংবাদিক বৈঠক

নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে শনিবার সকালে বাঁকুডার খাতরায় একটি বেসরকারি হোটেলে সংবাদিক বৈঠক করে কুড়মি সমাজের নেতারা। তাঁদের দাবি এই ঘটনা সঙ্গে তাঁদের কোন যোগ নেই। নিজেদের দাবির পক্ষে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেন। হীরেন্দ্রনাথ মাহাত বলেন,’আমরা নাশকতায় বিশ্বাস করি না। শুক্রবার যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন এক দায় তাদের নিজেদের নিতে হবে।’  তাঁদের অভিযোগ এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে।

অন্য দিকে কুড়মি সমাজের নেতা অজিত মাহাত টিভি নাইনকে বলেন,’গতকাল যা হয়েছে তা দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনায় আদিবাসী কুড়মি সমাজের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ তবে তিনি গ্রেফতারি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,’আমাদের কোনও কর্মীকে গ্রেফতার করে প্রশাসন যদি সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চায়, তবে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। আদিবাসী কুড়মি সমাজের কেউ ঘাঘর (ঘেরাও) কর্মসূচিতে ছিল না। আমাদের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। ‘

যা বললেন দিলীপ ঘোষ

ঘটনার পর তৃণমূল পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ঘেরাওয়ের সময় অভিষেককে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’ শুনতে পাওয়া গিয়েছে। দলের দাবি বিজেপিই মাথায় ‘হলুদ কাপড় বাঁধা গুন্ডা’ ঢুকিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,’কে স্লোগান শুনেছে? আমি তো মিডিয়ায় চোর চোর শুনলাম। উনি (অভিষেক) তো বলছেন যেখানে যাচ্ছেন সেখানে স্লোগান শুনতে পাচ্ছেন। শুধু এটা শুনতে পাচ্ছেন না।’