Vande Bharat: কোচবিহারে দাঁড়াবে বন্দে ভারত, কৃতিত্ব কার? দড়ি টানাটানিতে নেমে পড়ল TMC-BJP

রেল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে বন্দে ভারত থামবে নিউ কোচবিহারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কোচবিহারে খুশির হাওয়া। কিন্তু তার সঙ্গেই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল-বিজেপি উভয় শিবিরের তাবড় নেতারা। এখন প্রশ্ন, বন্দে ভারতের নিউ কোচবিহারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কৃতিত্ব কার?

কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূলের পার্থপ্রতীম রায় ফেসবুকে লিখেছেন, আন্দোলনের ফসল, আন্দোলন সফল। অপর এক তৃণমূল নেতা কোচবিহারে দলের জেলা সভাপতিকে ট্যাগ করে লিখেছেন, নিউ কোচবিহার রেল স্টেশনে স্টপেজ পেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আগামী ২৯শে মে থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেনের যাত্রা। অবশেষে আমাদের লড়াইয়ের নৈতিক জয় পেল কোচবিহারবাসী।

অন্য়দিকে এক বিজেপি নেতা বন্দে ভারতের স্টপেজ নিউ কোচবিহারে দেওয়ার জন্য রেলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন নিউ কোচবিহারে বন্দে ভারত দাঁড়াবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক।

বিধায়ক নিখিলরঞ্জন রায় ফেসবুকে লিখেছেন থোতা মুখ ভোঁতা হয়ে গেল..প্রসঙ্গ, নীচে বন্দে ভারত ট্রেনের ছবি

এদিকে ক্রেডিট নিতে রীতিমতো দুই শিবিরের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে। দুপক্ষই কৃতিত্ব নিতে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ফেসবুকে, বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে এনিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে। তবে রেলের স্টপেজকে ঘিরে দুপক্ষের এই দড়ি টানাটানিকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। হাসির রোলও উঠছে নেটপাড়ায়।

তবে এই সুযোগে অনেকে আবার নতুন দাবি করতে শুরু করেছেন, এনজেপি-হাওড়া অথবা শিয়ালদা বন্দে ভারত চালাতে হবে। এনিয়ে এবার আন্দোলন শুরু হোক।

কোচবিহারের বিভিন্ন পেশার মানুষ বন্দে ভারতের স্টপেজ নিয়ে ফেসবুকে উচ্ছাস প্রকাশ করেন।

এদিকে নিউ কোচবিহারে বন্দে ভারতের স্টপেজ দেওয়ার দাবি বাস্তবিকই তুলেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এসবের মাঝেই দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, নিশ্চিতভাবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিউ কোচবিহার স্টেশনে থামবে। খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনারা সেটা দেখতে পাবেন। যে লিস্টটা দেওয়া হয়েছিল কোনওটাই চূড়ান্তভাবে দেওয়া হয়নি। প্রথমে দেওয়া হয়েছিল কোচবিহার স্টেশনে থামবে। পরে যেটা দেওয়া হয়েছে সেখানে কোনওভাবে হয়তো নেই। কিন্তু পরে যখন চূড়ান্ত দেওয়া হবে তখন দেখবেন আবার থাকবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যারা কোচবিহার শহরে বসে প্রেসমিট করে বন্দে ভারত নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে তারা রেলের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করছেন তাদের কোনও কিছু করার ক্ষমতা নেই। শুধুমাত্র বিতর্ক তৈরি করাটাই তাদের কাজ।

তবে তারপরেও আন্দোলনে নামে তৃণমূল। আর এদিন রেলের তরফে নিউ কোচবিহারে বন্দে ভারত থামবে বলে ঘোষণা হতেই তৃণমূলের দাবি, আমাদের আন্দোলনের ফসল হল এই স্টপেজ।