Vinesh Phogat on Private Videos: ‘আমাদের প্রাইভেট ভিডিয়ো বানিয়েছে ACP’, বিস্ফোরক কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাট

গতকাল ভারতীয় কুস্তিগিরদের সংসদ ভবন অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল রাজধানী দিল্লিতে। যন্তর মন্তরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটদের। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকদিন ধরেই দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। আজ সেই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে সংসদ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। এরপর বজরং, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটদের আটক করা হয়েছিল। পরে রাতে মহিলা কুস্তিগিরদের ছেড়ে দেওয়া হয়। থানা থেকে বেরিয়ে ভিনেশ ফোগাট সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, মহিলা কুস্তিগিরদের ‘প্রাইভেট ভিডিয়ো’ করেছেন পুলিশ কর্তা।

ভিনেশ এবং সঙ্গীতা ফোগাট থানা থেকে ছাড়া পেয়ে বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রাইভেট ভিডিয়ো বানানো হয়েছে লুকিয়ে লুকিয়ে। থানায় যে এসিপি ছিলেন প্রদীপ কুমার এই কাজ করেছেন। আমরা তাঁকে ধরে ফেলি। পরে তাঁকে দিয়ে সেই ভিডিয়ো ডিলিট করাই আমরা। তবে তার আগে সেই পুলিশ কর্তা ভিডিয়োগুলি কোথাও পাঠিয়ে দিয়েছেন কি না, তা আমাদের জানা নেই। তিনি আমাদের বলেন নিরাপত্তার জন্য ভিডিয়ো করা হয়। তার জন্য একটা-দুটো ভিডিয়ো করা যায়। তিনি ৭-৮টা ভিডিয়ো করেছেন লুকিয়ে লুকিয়ে, তাও আবার নিজের ব্যক্তিগত ফোনে। আমি এই বিষয়ে আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব। তবে আমি সাধারণ জনগণকে বলতে চাই, এসিপি পদমর্যাদার একজন পুলিশকর্তার এই ধরনের কাজ করা মানায় না।’

উল্লেখ্য, ব্রিজ ভূষণকে গ্রেফতারির দাবিতে বহুদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বজরং, সাক্ষীরা। তবে সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। ব্রিজ ভূষণও নিজের স্থানে বহাল রয়েছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মহিলা কুস্তিগীরদের শ্বাস-প্রশ্বাস বা দম ধারণের পরীক্ষা করার অজুহাতে অনুপযুক্তভাবে স্তন স্পর্শ করতেন ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং। বিজেপি সাংসদ নাকি নাবালিকা কুস্তিগীরদেরও হেনস্থা করেছেন। একজন মহিলা কুস্তিগীর ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অন্তত পাঁচটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন নিজের বয়ানে। মহিলা কুস্তিগীর দাবি করেন যে ২০১৬ সালে একটি টুর্নামেন্ট চলাকালীন একটি রেস্তোরাঁয় ব্রিজ ভূষণ সিং তাঁর স্তন এবং পেট স্পর্শ করেছিলেন। সেই একই কুস্তিগীর আরও অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে তাঁর সঙ্গে। এসময়ও তাঁর স্তন ও পেট স্পর্শ করেন ব্রিজ ভূষণ। অপর এক মহিলা কুস্তিগীর অভিযোগ করেন, দিল্লির ২১ নং, অশোকা রোডে তাঁর অফিশিয়াল বাংলোর ভিতরে অবস্থিত কুস্তি ফেডারেশনের অফিসে দু’দিন ধরে তাঁকে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করে গিয়েছিলেন ব্রিজ ভূষণ সিং। এদিকে দিল্লি পুলিশ অভিযোগকারী কুস্তিগীরদের বয়ান রেকর্ড করলেও পদক্ষেপ করতে টালবাহানা করছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তবে ব্রিজ ভূষণকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এই আবহে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন বজরংরা। আর এর জেরে কুস্তিগিরদেরই জেলে থাকতে হল এবার।