ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে সাসপেন্ড, কড়া দাওয়াই দিলেন অভিষেক

বাইরন বিশ্বাস হাত ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন। আর তারপরই দেখা গেল ঘাটালের এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে সাসপেন্ড করা হল। একদিকে যখন খুশির হাওয়া তখন বিপরীত দিকে বিষাদের সুর। এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে তাঁর কনভয় আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে প্রকাশ্যেই দলের নেতার বিরুদ্ধে মুখও খুলেছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছিল। এই সব মিলিয়ে ঘাটালের তৃণমূল নেতাকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর নির্দেশে ঘাটাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ মাজি অভিযুক্ত নেতাকে সাসপেন্ড করেন। আরও দুই নেতাকে শোকজ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

ঠিক কী ঘটেছিল ঘাটালে?‌ তখন রাত হয়েছিল। যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বীরসিংহ গ্রামে বিদ‌্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘাটালে ফিরছিলেন। আর তখন অভিযুক্ত তিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ঘাটাল চন্দ্রকোণা রাজ‌্য সড়কের জলসরায় অভিষেকের কনভয় আটকায়। এই অভিযুক্ত তিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা হলেন— শেখ সোলেমান আলি, শেখ আবদুল রশিদ এবং দীপঙ্কর ঘোষ। ঘাটালের মুলগ্রাম বুথের সভাপতি সোলেমান আলি, বীরসিংহ অঞ্চল তৃণমূলের সম্পাদক শেখ আবদুল রশিদ এবং ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের আইটি সেলের কর্মী দীপঙ্কর ঘোষ। সোলেমানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাকি দু’‌জনকে শোকজ করা হয়েছে বলে খবর।

ঠিক কী বক্তব্য সোলেমানের?‌ ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ মাজিকে গালাগাল দিয়ে সোলেমানের অভিযোগ, ‘‌দিলীপ মাজির জন‌্যই ঘাটালে তৃণমূল ডুববে। ওকে সরানো উচিত। ঘাটলের প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দলুইকে দায়িত্ব দিন। ঘাটালের বিষয়টি আপনি নিজে দেখুন।’‌ এভাবেই অভিষেককে অভিযোগ জানান সোলেমান। আর গাড়ি থেকেই অভিষেক তাঁদের নাম, পরিচয় জেনে বলেন, ‘‌প্রকৃত তৃণমূল কর্মী এভাবে গাড়ি আটকে ক্ষোভ প্রকাশ করে না। আমি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তোমাকে সাসপেন্ড করছি।’‌ তারপর অভিষেক ঘাটাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ মাজিকে নির্দেশ দেন। আর রাতের মধ্যেই ওই তৃণমূল নেতাকে সাসপেন্ডের চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়।

ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য কী?‌ এই বিষয়ে দেবের লোকসভা কেন্দ্রে হইচই পড়ে যায়। তখন দিলীপ মাজি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের কনভয় আটকানো এবং দলবিরোধী কাজে যুক্ত সোলেমান। কনভয় আটকানো দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মেনে নিতে পারেননি। তাঁরই নির্দেশে আমি মুলগ্রাম বুথ সভাপতি শেখ সোলেমানকে সাসপেন্ড করেছি। বাকি দু’‌জনকেও শোকজ করা হচ্ছে।’‌