‘চোরাশিকার’ আসলে বিজেপি হাত শক্ত করবে! বাইরনের তৃণমূল যোগে কটাক্ষ জয়রাম রমেশের

সাগরদিঘিতে জেতার তিনমাসের মধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাইরন বিশ্বাস। একে এলাকার মানুষের রায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বললেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। এর পাশাপাশি টুইটে তিনি তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেও। তিনি এই ভাবে দল ভাঙানোতে বিরোধী জোটের বদলে লাভ হল বিজেপির।

টুইটে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক ফলে কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার তিন মাস পর বায়রন বিশ্বাসকে তৃণমূল প্রলুব্ধ করেছে। এটা সাগরদিঘি বিধানসভা এলাকার জনগণের রায়ের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা। গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং অন্যান্য রাজ্যে এর আগে ঘটে যাওয়া এই ধরনের চোরাশিকার বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করার বদলে শুধুমাত্র বিজেপির উদ্দেশ্য পূরণ করে।’

 

সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পাতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাইরন। যা নিয়ে জোর চর্চা-তরজা রাজ্য রাজনীতিতে। তার আঁচ যে দিল্লিতে পড়বে স্বাভাবিক। কারণ, রাজ্যে খরা কাটিয়ে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জিতে একটি বিধায়ক পেয়েছিল কংগ্রেস। সেই বিধায়কও তৃণমূলে নাম লেখাল। লোকসভা ভোটের আগে এই দলবদল সব রাজনৈতিক দলের কাছে চর্চারই বিষয়।

দলে যোগ দেওয়ার পর বাইরন অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তাঁর মতে, উন্নয়নের স্বার্থে তিনি শাসকদলে থাকাটাই সুবিধাজনক। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস জন্য তিনি জেতেননি। তাঁকে লোক চান বলেই তিনি জিতেছেন। (পড়তে পারেন। অর্পিতার অভিযোগ নিয়ে নীরব পার্থ, বাইরনের দলত্যাগে বললেন…)

জয়রাম রমেশ প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাঁর কটাক্ষ, এ রকম ‘চোরাচালন’ যদি চলতে থাকে তবে জোট দুর্বল হয়ে পড়বে শক্তিশালী হবে বিজেপি। যদিও এই যোগদানের অনেক আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছিলেন, কেন্দ্রে বিরোধী জোট নিয়ে যাই হোক না কেন, রাজ্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবেন তাঁরা। (আরও পডুন। সাগরদিঘিতে বাইরনের কুশপুতুল দাহ, MLA কলকাতায় গেলেই দলবদলের আতঙ্কে ভুগত কংগ্রেস)