Rolls Royce: বিমান কেনার ক্ষেত্রে বিপুল ‘কাটমানি,’ মামলা করল CBI

ট্রেনার এয়ারক্রাফট কেনার ক্ষেত্রে এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রোলস রয়েস ও তাদের কার্যনির্বাহী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে এবার মামলা করল সিবিআই। Rolls Royce PLC, Tim Jones, Director Rolls Royce India Pvt Ltd, আর্মস ডিলার সুধীর চৌধুরী, ভানু চৌধুরী, ও ব্রিটিশ এরোস্পেস সিস্টেমের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৪টি হক ১১৫ অ্য়াডভ্যান্সড জেট ট্রেনার এয়ারক্রাফট কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

টাইমস নাওতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে,  বিবৃতি দিয়ে সিবিআই জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের রোলস রয়েসদের কাছ থেকে হক বিমান কেনার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তার জেরে ব্রিটিশ অ্য়ারোস্পেস কোম্পানি রোলস রয়েস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, টিম জোনস, ডিরেক্টর রোলস রয়েস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ও সুধীর চৌধুরী, ভানু চৌধুরী, একাধিক সরকারি ও বেসরকারি লোকজনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অজানা সরকারি আধিকারিক তাঁর পদের অপব্যবহার করে সব মিলিয়ে ২৪টি হক ১১৫ অ্যাডভান্স জেট ট্রেনার এয়ারক্রাফট কিনেছেন। সব মিলিয়ে ৭৩৪.২১ মিলিয়ন খরচ করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দুস্তান অ্য়ারোনটিক্স লিমিটেডকে ৪২টি অতিরিক্ত বিমান তৈরির ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ওই প্রস্তুতকারক সংস্থাই সরঞ্জাম সরবরাহ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য অতিরিক্ত আরও ৩০৮.২৪৭ মার্কিন ডলার খরচের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।  আর প্রস্তুতকারদের লাইসেন্স ফির জন্য় অতিরিক্ত ৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সবটাই হয়েছে  এই চুক্তির মাঝে যারা ছিল তাদের মাধ্যমে প্রস্তুতকারক ও তার অফিসাররা বিপুল অঙ্কের ঘুষ, কাটমানি দিয়েছেন। 

সিবিআইয়ের এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, ২০০৩-১২ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অজানা কিছু আধিকারিক এই চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অস্ত্র ব্যবসায়ী সুধীর চৌধুরী মাঝে থেকে কলকাঠি নাড়তেন বলে অভিযোগ। এদিকে আয়কর দফতর ২০০৬-০৭ সালে রোলস রয়েস ইন্ডিয়ার প্রেমিসেস থেকে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা কোনওভাবে সেই নথি নষ্ট করে ফেলে বা সরিয়ে ফেলে। 

প্রসঙ্গত ২০০৩ সালে প্রতিরক্ষা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি হক বিমান কেনার ব্যাপারে অনুমোদন দেয়। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। এরপরই ধাপে ধাপে সুধীর চৌধুরী ও তার বাবা ভানু চৌধুরী এই সরকারি আধিকারিক ও কোম্পানির মাঝে ঘুষের আদানপ্রদানের মাধ্যম হিসাবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ।