মদন এফেক্ট? এ বার হাসপাতালে রাতের পরিষেবায় নজর রাখবে নবান্ন

সরকারি হাসপাতালে রাতের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে হাজারো অভিযোগ চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পরিবারের। রাতে রোগী ভর্তি করাতে এসে এসএসকেএমের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সরব হয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। সেই রেশ স্থিমিত হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। মূলত রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে নির্দেশ দেন, রাতে কোন কোন চিকিৎসক হাসপাতালের ডিউটিতে আছেন তার সমস্ত তালিকা পাঠাতে হবে নবান্নে। তালিকায় থাকবে নাম, পদ ও মোবাইল নম্বর।

হাসপাতালে রাতের পরিষেবা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ থাকে রোগীর আত্মীয়দের। বেড না পাওয়া, চিকিৎসায় গাফিলতিরও অভিযোগ রয়েছে এর মধ্যে। দিনের তুলনায় রাতে চিকিৎক ও অন্যান্য স্টাফও কম থাকে, ফলে বিস্তর হায়রানির মধ্যে পড়তে হয় রোগীর আত্মীয়দের। দীর্ঘ ক্ষণ বিনা চিকিৎসায় রোগী পড়ে থাকে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাতে এসে এই ধরনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। তার পরই এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। 

(পড়তে পারেন। এবার থেকে চার বছরে স্নাতক, জাতীয় শিক্ষানীতিতে সিলমোহর দিল রাজ্য)

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির সুপারদের রাতের পরিষেবা নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। নিজেও রাতের হাসপাতালে ফোন করে খোঁজ নেন। এর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাতের রোস্টার হাসপাতালগুলির থেকে চাওয়া হবে। সেই মতো প্রতিদিন দুপুরবেলা রোস্টারের এক্সেল ফাইল পাঠানো শুরু করে দিয়েছে মেডিক্যাল কলেজগুলি। রাতে হাসপাতালে একজন করে সহকারী সুপার ও একজন করে ডেপুটি নার্সিং সুপার থাকাও বাধ্যতামূলক। তা থাকছে কি না সেদিকেও নজর রাখা হবে। এই পুরো ব্যবস্থার উপর অতিরিক্ত সুপারদের নজর রাখতে বলা হয়েছে।