ফরিদাবাদে একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরী ১৩ বছর বয়সি ভাইকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ফোন নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্য়ে ঝগড়া হয়েছিল। তারই পরিণতিতেই এই ভয়াবহ ঘটনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ওই ভাইবোন উত্তরপ্রদেশে তাদের দাদুর বাড়িতে থাকত। গরমের ছুটিতে তারা ফরিদাবাদে গিয়েছিল বাবা মায়ের কাছে। এদিকে সূত্রের খবর, দিদির মনে হত যে ভাইয়ের প্রতি একটু বেশি ভালোবাসা দেখায় বাবা মা। সেকারণ সে মন খারাপ করত। তবে তার পরিণতিতে যে এমন ঘটনা হয়ে যাবে তা কেউই বুঝতে পারেননি। মনে করা হচ্ছে ভাইয়ের প্রতি রাগ ছিল দিদির। তারই চরম পরিণতি হয়েছে এবার।
একাধিক সংবাদ মাধ্য়মে সূত্রে খবর, ওদের বাবা ও মা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঘটনার সময় তারা দুজনেই বাড়িতে ছিলেন না। সূত্রের খবর, মোবাইল নিয়েও প্রায়ই ভাইবোনের মধ্য়ে ঝগড়া হত। মঙ্গলবার তা চরমে ওঠে। ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিল ভাই। সেটা দেখে ফোনটা দিতে বলে দিদি। কিন্তু ভাই ফোন দিতে চায়নি। আসলে সে ফোনে গেম খেলছিল। সে ফোন ছাড়তে চায়নি। এরপরই মারাত্মক রেগে যায় দিদি। এরপর সে ভাইকে চেপে ধরে। একটা সময় সে তার গলা চেপে ধরে। তাতেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় ছোট ভাইয়ের।
এদিকে ওই কিশোরীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে পেশ করা হচ্ছে বলে খবর। এদিকে পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে ওই কিশোরী। তার দাবি, বাবা মা একটু বেশি ভালোবাসত ভাইকে। সেটা নিয়ে তার রাগ ছিল। এদিকে ফোন নিয়ে গেম খেলছিল ভাই। সেটা দিতে বলেছিল দিদি। কিন্তু সেটা সে দিতে চায়নি। আর তখনই সে ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ধরে। তখনই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় ভাইয়ের।
পুলিশ ইতিমধ্য়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঠিক কী কারণে এভাবে খুন করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য় কোনও কারণ রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে।