পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য,তদন্ত ঠেকাতে মরিয়া সরকার

আব্রাহাম থমাস

পশ্চিমবঙ্গের পুরসভাগুলিতেও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ।  এবার এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। এমনকী দ্রুত শুনানি চেয়েও আবেদন করা হয়েছিল রাজ্য়ের তরফে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য়ের আবেদনে সাড়া দেয়নি। রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে দ্রুত শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল।  কিন্তু সেখানেই এবার বড় ধাক্কা।

সূত্রের খবর, গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল এই মামলা রাজ্য সরকারের বক্তব্য না শুনেই একতরফাভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্য়াডভোকেট সুনীল ফার্নান্ডেজের মাধ্যমে এই আবেদন করা হয়েছিল।

এদিকে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও কেভি বিশ্বানাথনের ভ্যাকেশন বেঞ্চ জানিয়েছে,  দ্রুত শুনানি নিয়ে তাড়াহুড়োর কোনও কারণ দেখছেন না। আগামী ৩ জুলাই আদালত ফের খোলার পরে শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিকে রাজ্য সরকার চেয়েছিল আগামী সপ্তাহে এই শুনানি করা হোক। কিন্তু বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে,  তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে জরুরী ভিত্তিতে শুনানির আবেদন এটা অভিযুক্তদের একটা ব্যাপার থাকতে পারে। কিন্তু সেটা নিয়ে রাজ্য কীভাবে আসতে পারে। আমরা আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারি এটা বলে যে আগামী ৩ জুলাই দেশের প্রধান বিচারপতির সামনে উল্লেখ করুন। ইতিমধ্য়েই রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে যেতে পারে। 

এদিকে রাজ্য়ের তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, যদি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় তবে রাজ্যকে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য়ে পড়তে হবে যাতে দেখা যাবে সিবিআইয়ের তদন্ত ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। 

এদিকে এই বিষয়টিকে দ্রুত শুনানির জন্য উল্লেখ করার পরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা রাজ্য়ের আবেদনের বিরোধিতা করতে চেয়েছিলেন। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্ক বেঁধে যায় দুপক্ষের মধ্য়ে।  রাজ্য়ের তরফে বলা হয় এই মামলায় অংশ নেওয়ার জন্য সলিসিটর জেনারেলকে কেউ বলেননি। অথচ তিনি এখানে বিরোধিতা করছেন। মামলাটি কী নিয়ে সেটা না জেনেই তিনি এসব করছেন। 

তবে সলিসিটর জেনারেল পালটা আদালতে জানিয়েছেন, আমি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলাটি জানি। আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি রাজ্য সরকার কীভাবে তদন্ত ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ফেলছে।