Cinnamon Tea For Diabetes, How To Manage High Blood Sugar With This Tea

কলকাতা: দারচিনি। খাবারে, চায়ে, গরম মশলা তৈরিতে- আরও নানাভাবে এর ব্যবহার রয়েছে। সুগন্ধী এই মশলার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও দারচিনির একাধিক ব্যবহার রয়েছে।

ABP Ananda – Live TV

নানা গুণের মধ্যে অন্যকম হল এই মশলা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগে। প্রাকৃতিক উপায়ে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় জিনিস এটি। ঘরোয়া টোটকা হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে।

ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক সমস্যা যা একেবারে কমে যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাপা ডায়েট এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মধ্যে দিয়ে চললে নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড সুগার। অন্য সমস্যাও হয় না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সবার আগে নজর দিকে হয় বাড়িতে। বাড়িতেই ছোট ছোট অভ্যাস তৈরি করে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের কাজে নামা যায়। প্রি-ডায়াবেটিক হলেও এমন পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।

কী কী অভ্যাস?
নিয়মিত শরীরচর্চা, অল্পবিস্তর হাঁটার অভ্যাস তৈরি করা। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া। প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য ডায়েটে রাখা। এমন নানা অভ্যাস তৈরি করা যায়। এরই সঙ্গে কাজে দেবে দারচিনি চা (cinnamon tea)

International Journal of Food Sciences-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ডায়াবেটিস রয়েছে এমন ব্যক্তি প্রতিদিন তাঁর ডায়েটে ৩-৬ গ্রাম দারচিনি কোনও না কোনওভাবে যোগ করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই কমতে পারে।

দারচিনি আদতে গাছের ছাল। একাধিক ওষধিগুণ রয়েছে এর। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ থেকে প্রদাহরোধ করা, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকানোর মতো একাধিক উপযোগিতা রয়েছে দারচিনির। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দারচিনিতে cinnamaldehyde নামের একটি পদার্থ রয়েছে, যা ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য করে, কার্যকারিত বাড়াতেও সাহায্য করে। protein-tyrosine phosphatase 1B (PTP1B) and insulin receptor kinase-এর কাজ বাড়াতেও সাহায্য করে cinnamaldehyde. যা আদতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 

দুপুরের বা রাতের খাওয়ার পরে, অর্থাৎ বড় কোনও মিলের পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এই বৃদ্ধিকে লাগাম দিয়ে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করতে পারে দারচিনির চা। 

এক কাপ গরম জলে দারচিনির গুঁড়ো বা দারচিনির টুকরো ফেলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে দারচিনির চা।

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

আরও পড়ুন: Appetite: খাবার দেখলেই অনীহা? একেবারেই নেই খিদে? প্রতিদিন সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে সমাধান হবে সমস্যার

Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )

Calculate The Age Through Age Calculator