BCCI President Roger Binny Distances Himself From 1983 World Cup Team’s Statement On Protesting Indian Wrestlers

মুম্বই: কুস্তিগীরদের প্রতিবাদে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দল। একটি বিবৃতি দিয়ে সাক্ষী, ভিনেশদের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে তাঁরা। সেই দলেরই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রজার বিনি। যিনি বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি। এদিন নিজের এক বিবৃতি দিয়ে রজার বিনি জানিয়ে দিলেন যে তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী দলের যে বিবৃতি তার সঙ্গে তিনি সমহত নন। সেই বিবৃতিতে তিনি সই করেননি। অর্থাৎ যৌন হেনস্থার যে অভিযোগ সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে এনেছিলেন সাত কুস্তিগীর, তাদের প্রতিবাদে পাশে নেই বিনি।

ABP Ananda – Live TV

কী বলছেন বিনি?

এক বিবৃতিতে বিসিসিআই সভাপতি জানিয়েছেন, ”’কিছু মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে যেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে, আমি সেটাতে পরিষ্কার করে বলতে চাই আমি কুস্তিগীরদের বর্তমান আন্দোলন নিয়ে কোনও বিবৃতি দিইনি। আমি বিশ্বাস করি এই বিষয়ে যোগ্য ব্যক্তিরা ঘটনার তদন্ত করছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে, আমি বিশ্বাস করি খেলাকে রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়।”

প্রতিবাদ রোজ আরও দৃঢ় হচ্ছে। গোটা দেশ ধীরে ধীরে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাতদের। যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে অভিযােগ তুলেছিলেন সাত মহিলা কুস্তিগীর। এদের মধ্যে একজন নাবালিকাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন কুস্তিগীররা। সাক্ষী, বজরং, ভিনেশরা তাঁদের দেশের জন্য পাওয়া পদকও গঙ্গায় বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন। গোটা দেশে কুস্তিগীরদের এই প্রতিবাদে এবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরাও। 

কপিল দেবের নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেই দলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ”আমাদের দেশের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীরদের মারধর করা হয়েছে। এই অপ্রীতিকর দৃশ্যে আমরা ব্যথিত ও বিরক্তও। এর থেকেও বেশি আমরা উদ্বিগ্ন যে তাঁরা তাঁদের কষ্টার্জিত পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়ার কথা ভাবছেন।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ”এই পদকগুলির সঙ্গে বছরের পর বছর প্রচেষ্টা, ত্যাগ, সংকল্প এবং দৃঢ়তা জড়িয়ে রয়েছে। এটি কেবল তাঁদের নিজস্ব নয়, জাতির গর্ব এবং আনন্দ। আমরা তাঁদের এই বিষয়ে কোনও তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং আশা করি তাঁদের অভিযোগ দ্রুত শোনা হবে এবং সমাধান করা হবে। দেশের আইনের প্রাধান্য দিন।”