Electronic interlocking: ‘করমণ্ডল বিভীষিকার পেছনে ‘ভিলেন’ ইন্টারলকিংয়ের বদল,’ কীভাবে কাজ করে এটি?

দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের পরিবর্তন সংক্রান্ত একটা বিষয় রয়েছে এই রেল দুর্ঘটনার পেছনে। তদন্ত রিপোর্ট আসুক তারপর পুরোটা জানা যাবে। কিন্তু এই ইন্টারলকিং সিস্টেমটা ঠিক কী? তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী? 

সংবাদসংস্থা এএনআইকে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন,কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বিষয়টি দেখছে।সেই রিপোর্ট আসতে দিন। কিন্তু আমরা দুর্ঘটনার কারণকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। আর যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী…আসলে এটা ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের পরিবর্তনের কারণে হয়েছিল। এমনকী প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কবচ সংক্রান্ত দাবিও মানতে চাননি তিনি। 

রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এই দুর্ঘটনার সঙ্গে অ্যান্টি কলিশন সিস্টেমের কোনও সম্পর্ক নেই।

কিন্তু এই  ইন্টারলকিং সিস্টেমটা ঠিক কী?

এটা আসলে সিগনাল, পয়েন্ট, ট্র্য়াকের যে সার্কিট রয়েছে তাদের মধ্য়ে একটা মেলবন্ধন ঘটায়। গোটা বিষয়টি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। রেল জংশন, স্টেশন, সিগন্য়ালিং ব্যবস্থা সব এই সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল। একটি লাইন থেকে অপর লাইনে কখন ট্রেনটি যাবে সেটাও নির্ভর করে এই সিস্টেমের উপর। মানে রেললাইনের পাশেই এই ইলেকট্রিকাল সার্কিটটা থাকে। কোনও একটা লাইন ফাঁকা আছে নাকি তাতে ট্রেন আছে সেটা বুঝে এই ইন্টারলকিং সিস্টেম নির্দিষ্ট লাইনে ট্রেনের যাতায়াতকে নির্দিষ্ট করে। দুটি ট্রেন যাতে একই লাইনে না থাকে সেটাও ঠিক করে দেয় এই সিস্টেম।

ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং কী? 

এই সিস্টেমটি আরও উন্নত। সফটওয়ারের মাধ্যমে কাজ করে এই সিস্টেমটি। কম্পিউটার ব্যবস্থা, Programmable logic controllers এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকে। 

এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন, ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থার বদল করতে গিয়ে কিছু হয়েছিল…অনেকের মতে সম্ভবত তিনি ভুল সিগন্য়াল বা ভুল লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে নিয়ে যাওয়ার কথা বোঝাতে চেয়েছিলেন। তবে তদন্ত হওয়ার পরেই সবটা জানা যাবে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup