Food Crisis: পাকিস্তানে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ খাদ্য সংকট, হটস্পট আফগানিস্তানও: Report

মাস কয়েকের মধ্যেই পাকিস্তানে খাবারের ভয়াবহ সংকট দেখা দিতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এই ভয়াবহ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। Khaama Press এর রিপোর্ট অনুসারে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যদি আরও বিগড়ে যায় তবে খাবারের সমস্যাও প্রকট হবে। একই পরিস্থিতি হতে পারে আফগানিস্তানেও।

রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, FAO, WFP এই দুই সংস্থা যৌথভাবে এই রিপোর্টকে সামনে এনেছে। WFP-র রিপোর্টে একাধিক দেশকে এই সংকটের হটস্পট হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে পাকিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, দ্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, সিরিয়ান আরব রিপাবলিকের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকী মায়ানমারের জন্যও এই সতর্কতা রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঠিক কী ধরনের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে ?

সেখানে মূলত আশঙ্কা করা হয়েছে আসন্ন মাসগুলিতে মারাত্মক খাবারের সংকট দেখা দিতে পারে। এর জেরে অনেকের জীবন বিপন্ন হতে পারে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে মূলত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যখন বিগড়ে যাবে তখনই সমস্য়া আরও বাড়তে পারে। গোটা জুড়ে শক্তিসম্পদের সংকট দেখা দিতে পারে। বিদেশ থেকে খাদ্য সামগ্রী আনার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার দেখা যাক পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ঠিক কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?

এনডিটিভির রিপোর্ট অনুসারে পাকিস্তানের প্রায় ৮.৫ মিলিয়ন মানুষ মারাত্মক খাদ্য সংকটের মধ্য়ে পড়তে পারেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মধ্য়ে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। সেই সঙ্গেই উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশ মানুষ সারা দিনে দুবেলা খাবারও যথাযথভাবে পান না। মূলত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা এতটাই বিগড়ে যাচ্ছে যে বহু বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জিনিসপত্র কেনার মতো পরিস্থিতিই নেই। অন্যদিকে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হলে বিদেশ থেকে কয়লা ও খাবার আমদানির ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।