Lynching: ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষককে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীরা, ফল হল মারাত্মক

কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ানোয় কলেজ শিক্ষককে বেঁধে মারধরের অভিযোগ পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিয়ের কথা লুকিয়ে কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। গুরুতর আহত শিক্ষককে কলকাতার SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামে ফিরতে গেলে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে নিদান দিয়েছেন গ্রামের মাতব্বররা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নেড়াদেউলের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক চন্দ্রকোণার শ্রীরামপুরের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ান। শনিবার ছাত্রীর বাড়ির কাছে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। তখন তাঁদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে কয়েকজন যুবক। এর পর শুরু হয় গ্রামের মাতব্বরদের মাতব্বরি। কলেজ শিক্ষককে বেঁধে বেদম প্রহার দেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, কলেজ শিক্ষক বিবাহিত। সেকথা লুকিয়ে ছাত্রীকে ফাঁসিয়েছেন তিনি। মারের চোটে গুরুতর আহত হন ওই যুবক। এর পর পরিবারের সদস্যরা কলেজ শিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের কাছে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা চান গ্রামের মাতব্বররা। সেই টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন পরিজনরা। এর পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় কলেজ শিক্ষককে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যদিও কলেজ শিক্ষকের পরিবারের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কোনও কাজে শ্রীরামপুরে গিয়েছিলেন শিক্ষক। সেখানে এক ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তখনই গ্রামের কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে বদনাম করে মারধর করে। এই ঘটনায় পুলিশে এখনো কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ঘটনাটি নিয়ে খোঁজ খবর শুরু করেছেন চন্দ্রকোণা থানার আধিকারিকরা।