Coromandel Express Accident: ‘করমণ্ডল বিভীষিকা ১০০% অন্তর্ঘাত,’ মমতার বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক দীনেশ ত্রিবেদী

ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। দুটি যাত্রীবাহী ও একটি পণ্যবাহী ট্রেনের মধ্য়ে সংঘর্ষ। এরপর কার্যত মৃত্যু মিছিল। এই দুর্ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেলবোর্ড। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার Root Cause চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এসবের মধ্য়েই মুখ খুলেছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। নিউজ ১৮এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, ইন্টারলকিং সিস্টেম সম্পর্কে যা বুঝি বা যা ইনপুট পেয়েছি তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে এটা কাজ করেছে। আমি মনে করছি এটার পেছনে একটা বড় কারচুপি রয়েছে। তার জেরেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস মেইন লাইন থেকে লুপ লাইনে চলে গিয়েছিল। আরও ফাইন্ডিংস সামনে আসছে। আমি ১০০ শতাংশের থেকে বেশি নিশ্চিত যে এই সংঘর্ষের পেছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে। এটা কোনও সাধারণ দুর্ঘটনা নয়।

একেবারে বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর। তিনি ওই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, একটা রেলওয়ে সিস্টেমে একাধিক কো-ইনসিডেন্স থাকে। যদি কোনও ইন্টারলকিং সিস্টেম কাজ না করে তবে অন্য সিস্টেম কাজ করতে শুরু করে। এটাকে বলে ফেইল সেফ।যদি ফেইল সেফ কার্যকরী হয়ে যায় তবে ওই লাইনে টানা লাল সিগন্যাল হয়ে যায়। আর তার জেরে আর ট্রেন চলে না।

এদিকে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে যে ঘটনা হয়েছিল শুক্রবার সন্ধ্যায়, তা ষড়যন্ত্র। তিনি জানিয়েছেন, আমার মনে হয়েছে এটা প্রচুর পরিকল্পনা ও হিসাব কষে ঘটানো হয়েছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্য়ে পরপর এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়।

তিনি ওই সংবাদ মাধ্য়মকে জানিয়েছেন, এটা সামান্য সিগনাল ফেলিওরের ঘটনা নয়। লুপ লাইনে লোহার রড বোঝাই পণ্য়বাহী গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল। তার পেছনে এসে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী গাড়িটি। তিনি জানিয়েছেন, একজন লোকো পাইলট সিগন্যাল দেখার পরে ট্রেনের স্পিড বৃদ্ধি করেন বা সেটার গতি নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু তিনি ট্র্য়াক বদল করতে পারেন না।….যদি সিগন্য়াল ফেলিওর হত তবে লাইন ব্লক হয়ে যেত আপনা থেকেই। সিগন্য়াল লাল হয়ে যেত। 

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই সময় রেলমন্ত্রী। তিনি সেই সময় সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছিলেন। তিনি সেই সময় সিপিআইএমেকে জানিয়েছিলেন রাজনীতি করবেন না। আর সিপিএমে সেই সময় যে কাজটা করত এখন মমতা সেটাই করছেন। দাবি দীনেশ ত্রিবেদীর।