Anubrata Mandal: সুগার ২৫০, ব্যালেন্স পাচ্ছি না! বেহাল শরীরের কথা বলেও জামিন মিলল না অনুব্রতর

বিধ্বস্ত কেষ্ট। মাথায় ব্যথা। হাতে পায়ে যন্ত্রনা। ঠিক মতো চলতে পারেন না। ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলেন। সুগারও ২৫০। এ সব জানিয়ে বিচারকের কাছে জামিন চাইলেন অনুব্রত মণ্ডল।

বুধবার তিহার জেল থেকে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রত ও সায়গলের ভার্চুয়াল শুনানি হয়। সায়গলের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। অনুব্রত ও বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর মধ্যে বেশ খানিক ক্ষণ কথা বার্তা হয়। বিচারক বীরভূমের তৃণমল জেলা সভাপতির শারীরিক অবস্থা জানতে চান। শরীর খারাপ হলে তাঁকে নিয়মিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কি না জানতে চান।

জবাবে অনুব্রত জানান হাসপাতালে ভালই চিকিৎসা হচ্ছে। এর পর বিচারকের কাছে জামিন চান। কিন্তু বিচারক তাঁকে জানিয়ে দেন, হাইকোর্টে তাঁর জামিন খারিজ হয়েছে। অন্য একটি মামলায় তিনি তিহার জেলে রয়েছেন, তাই এই মুহূর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। বিচারক তাঁর আইনজীবীকে পিটিশন জমা দিতে বলেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান বিচারক।

এরপরই অনুব্রত বিচারক রাজেশ  তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানান। সব শুনে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাঁর আরো ভালো চিকিৎসার জন্য লিখে দেন।

বৈধ কাগজপত্র থাকায় সায়গলের কিছু গয়না ফেরত দিতে রাজি হয়েছে সিবিআই। এ দিন ওই গয়না ফেরতের আর্জি নিয়েও শুনানি হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গলের কাছ থেকে মোট ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি গয়না ফেরত দিতে রাজি হয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি বাকি গয়না কোনও বৈধ রশিদ নেই বা থাকলে তা ভুয়ো রশিদ। সূত্রের খবর, অনুব্রত ও সিবিআইকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চেয়েছিল সিবিআই। বিচারক তার অনুমতি দিয়েছেন।