Bangladesh on Mural in India’s New Parliament: নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে খচিত ‘অখণ্ড ভারত’, জবাবদিহি চাইবে বাংলাদেশ

ভারতের নয়া সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’-এর মানচিত্র খচিত রয়েছে। সেই মানচিত্রের ছবি টুইট করেছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ যোশীও। এরপরই তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পাকিস্তান এবং নেপালের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার এই বিষয়ে নিজেদের আপত্তি জানাল বাংলাদেশও। নয়াদিল্লির কাছে এ নিয়ে জবাবদিহি চাওয়ার জন্য ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন সেদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এর আগে নেপাল এই মানচিত্র নিয়ে আপত্তি জানালে ভারতের তরফে দাবি করা হয়, সম্রাট অশোকের সাম্রাজ্যের মানচিত্র এটা।

এদিকে দিল্লির কাছে এই মানচিত্র নিয়ে জবাবদিহি চাইলেও নিজের দেশে এই বিষয়টিকে বড় করে দেখছেন না বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি দাবি করেন, এই মানচিত্রের রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই। তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের থেকে এই বিষয়ে সরকারি প্রতিক্রিয়া চাওয়ার কথা জানান তিনি। এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের ভারত সফরের আগে সেদেশের রাজনীতিবিদরাও এই মানচিত্র নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। পরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকে মুখপাত্রঅরিন্দম বাগচি সাপ্তাহিক সামবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘দেওয়ালে খচিত এই মানচিত্রটি অশোক সাম্রাজ্যের বিস্তারকে তুলে ধরেছে। সেই সময়কার জনমুখী শাসনের ধারণাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এতে।’

এর আগে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এই মানচিত্রর ছবিটি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘অখণ্ড ভারতের সংকল্প স্পষ্ট।’ এদিকে এই মানচিত্রের ছবি পোস্ট করা হয়েছে কর্ণাটক বিজেপির তরফেও। সেখানে ক্যাপশনে লেখা, ‘এটি আমাদের গর্বিত মহান সভ্যতার প্রাণশক্তির প্রতীক।’ প্রসঙ্গত, মাঝে মাঝেই বিজেপি নেতারা বিতর্ক উসকে দিয়ে ‘অখণ্ড ভারত’-এর রব তুলে থাকেন। আরএসএস এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের গলাতেও শোনা যায় সেই সুর। উল্লেখ্য, নয়া সংসদ ভবন নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। প্রথমে সংসদের মাথায় বসানো অশোক স্তম্ভের সিংহের ‘হিংস্র’ মুখ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পরে সেই বিতর্কের জল গড়িয়েছিল আদালতের দোরগোড়া পর্যন্ত। তবে আদালত জানিয়ে দেয়, নয়া সংসদ ভবনের মাথায় বসানো সিংহ আইনবিরুদ্ধ নয়। এরপর সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। উদ্বোধনের আগেই কংগ্রেস সহ ২০টি বিরোধী দল অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেয়। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাষ্ট্রপতির বদলে কেন প্রধানমন্ত্রী এই ভবনের উদ্বোধন করছেন। এদিকে সেঙ্গল প্রতিষ্ঠা এবং সেই রাজদণ্ডের ইতিহাস নিয়েও কংগ্রেস ও বিজেপির দ্বন্দ্ব বাঁধে। পরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের রীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শরদ পাওয়ার এবং আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতো প্রবীণ সাংসাদরা। এবার সংসদের দেওয়ালে খচিত মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলিতে।