Firhad Hakim: সিবিআই তল্লাশিতে রাজনীতি দেখছেন ফিরহাদ, যোগ না থাকলে ভয় কী! বলছে বিজেপি

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের একাধিক পুরসভা-সহ পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বুধবার সকাল থেকে তল্লাশি করছে সিবিআই। এই তল্লাশির পিছনে রয়েছে রাজনীতি, এমনটাই দাবি করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন- মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অন্য দিকে বিরোধী বিজেপির কটাক্ষ, যোগ না থাকলে ভয় পাওয়ারও কোনও কারণ নেই।

এ দিন সকাল ১১ টা নাগাদ সিবিআই-এর একটি দল পুরমন্ত্রীর দফতরে তল্লাশিতে যায়। এ নিয়ে মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ইতিমধ্যেই তথ্য খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা কোনও অনিয়ম পাইনি। জানি না কী উদ্দেশ্যে, কী ব্যাপার। ত্রাস তৈরির চেষ্টা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি অন্যায় না করে থাকি তা হলে কে শাস্তি দেবে। যে দোষ করেছে সে শাস্তি পাবে।’ প্রসঙ্গক্রমে তিনি চূচূড়াঁ পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি তুলে বলেন,’চূচূড়া পুরসভার নিয়োগে অনিয়ম দেখেছিলাম। তা বাতিল করেছি। কোন পুরসভায় কী হচ্ছে তা মন্ত্রীর জানার কথা না।’

পুরমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,’ফিরহাদ হাকিমের ঘরে চাপ বাইরে চাপ। ওঁর নাম করে কেউ কিছু বলেনি। উনি হঠাৎ ফরোয়ার্ড খেলছেন কেন? ওঁর যদি যোগ না থাকে তবে ভয় পাওয়ার কী আছে। এত নিয়োগ হয়ে গিয়েছে উনি কিছুবই জানেন না। উনি হয়তো নিজে করেননি কোনও চাপে করেছেন হয়তো।’

বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। এই পুরসভায় মধ্যে রয়েছে, টিটাগড়, শান্তিপুর, পানিহাটি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর ,বরানগর, টাকি পুরসভা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই একাধিক পুরসভায় নাম উঠে এসেছে। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের সূত্রে ধরে এই পুরসভারগুলির নাম উঠে এসেছে। তা খতিয়ে দেখতে বুধবারের এই তল্লাশি বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। (পড়ুন বিস্তারিত। পুরমন্ত্রী ফিরহাদের দফতরে সিবিআই হানা, তল্লাশি একধিক পুরসভায়)