Maximum age for giving birth: ‘আগে ১৭তেই বাচ্চা হয়ে যেত,’ নাবালিকা ধর্ষিতার গর্ভপাতের আবেদনে জানাল গুজরাট হাইকোর্ট

গুজরাটের মরবি জেলায় এক নাবালিকা ধর্ষিতার ৭ মাস বয়সি গর্ভস্থ ভ্রুণকে নষ্ট করার আবেদনে শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল গুজরাট হাইকোর্ট। সেখানে উল্লেখ করা হল আগে কীভাবে ১৪-১৫ বছরে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যেত। আর ১৭ বছর বয়সে মা হয়ে যেত। 

এদিকে ওই নির্যাতিতার বয়স ছিল ১৬ বছর ১১ মাস। তাঁর ৭ মাস বয়সি ভ্রুণকে নষ্ট করার আর্জি প্রসঙ্গে গুজরাট হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, অতীতে কীভাবে ১৪-১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যেত। আর ১৭ বছর বয়সে মা হয়ে যেত। 

এদিকে আবেদনকারীর আইনজীবী সিকন্দর সৈয়দ জানান ১৬ অগস্ট প্রসবের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। একটু আগে নির্দেশ দেওয়া হোক। তবে বিচারপতি জানিয়েছেন, ভ্রুণ ও মা যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে তবে আদালত গর্ভপাতের নির্দেশ দিতে পারে না। 

লাইভ লর প্রতিবেদন অনুসারে বিচারপতি সমীর জেজে দাভের মন্তব্য, কারণ আমরা ২১ শতকে বাস করছি। কিন্তু আপনার মা বা ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করুন। আগে ১৪-১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যেত। ১৭ বছর বয়সের আগে বাচ্চা হয়ে যেত। ছেলেদের আগে মেয়েরা ম্য়াচিওর হয়ে যায়। ৪-৫ মাসের এদিক ওদিকটা কোনও ব্যাপার নয়। আপনারা হয়তো মনুস্মৃতি পড়েন নি। একবার ওটা পড়ে নেবেন।

এর জবাবে আবেদনকারী আইনজীবী বলেন. মুসলিম আইনে এই বয়সটা হল ১৩ বছর। 

তবে শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়েও অবশ্য় ভাবছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, যদি এটা হয় তবে শিশুটির দেখাশোনা কে করবে? কিন্তু কোনও শিশুকে খুন করার নির্দেশ কি আদালত দিতে পারে? 

দত্তক সংক্রান্ত ব্যাপারগুলি এখন থেকেই খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেন বিচারপতি। 

অন্যদিকে রাজকোট সিভিল হাসপাতালের কাছে আদালত জানতে চায় সাত মাসের ভ্রুণকে কি গর্ভপাত করা যায়? এর সঙ্গেই ওই নাবালিকার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে যাচাই করার জন্য নির্দেশ  দেয় আদালত। ওই নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যাচাই করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১৫ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে।