Panchayat vote: গণতন্ত্রের হত্যা, কড়া টুইট শুভেন্দুর, রিগিং শুরু, জানালেন মালব্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেল। আগামী ৮ জুলাই শনিবার হবে পঞ্চায়েত ভোট। একদফায় হবে ভোট। আর সবথেকে বড় কথা রাজ্য পুলিশে ভরসা রাখার কথা জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিকে ভোটের দিন ঘোষণা হতেই তীব্র আক্রমণ গেরুয়া শিবিরের।

টুইট করে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রে হত্যা হল।

শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, এই প্রথম রাজ্যস্তরে, ব্লক স্তরে, জেলা স্তরে একটিও সর্বদলীয় মিটিং না করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হল। একদফা ভোটের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আলোচনা হল না। ৯ জুন শুক্রবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ঠিক করা হয়েছে। ১৫ জুন শেষ দিন। ১০ ও ১১ জুন সপ্তাহের শেষ দিন।সেই দুদিন অফিসের কাজ সম্ভব নয়।

 

শুভেন্দু লিখেছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য়টা খুব পরিষ্কার। এইভাবে ভোট ঘোষণা থেকে এটা খুব পরিষ্কার যে এটা আঞ্চলিক তৃণমূলের শাখা সংগঠন হিসাবে কাজ করছে। ভোটে হিংসা হতে পারে। তার জন্য় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে দায়ী থাকতে হবে। কারণ এই তাড়াহুড়ো করে ভোটের দিন ঘোষণা, উপযুক্ত সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এটা হতে পারে। এভাবেই ভোটের দিন ঘোষণা হতেই জোরালো আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর।

 

শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি কড়া টুইট করেছেন বিজেপির মিডিয়া সেলের ইন চার্জ অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হবে ৮ জুলাই। কাল থেকেই মনোনয়ন। মাত্র ৫ দিনে ৭৪,০০০ মনোনয়ন গোটা রাজ্যজুড়ে।

রিগিং তো শুরু হয়ে গেল। মালব্য লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন আবার ভোট করতে চাইছেন? একেবারে ফলাফল ঘোষণা করে দিলেই তো হয়ে যেত।

ভোটের দিন ঘোষণা হতেই একের পর এক তির ছুঁড়তে শুরু করেছেন বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট করা সম্ভব নয়।

তবে বিরোধীরা সুর চড়ালেও তৃণমূলের তরফ থেকে পালটা তোপ দাগা হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আসলে ভোটের দিন ঘোষণা হতেই ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। ভোটে লড়ার আগেই হেরে বসে আছেন বিরোধীরা। তার জেরেই এই অবস্থা।