Bidyut Baran Gayen: বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে এল CBI, কেষ্ট মণ্ডলকে বাবা ডাকতেন, খালাসি থেকে রকেট উত্থান

অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে আরও তথ্য় পেতে তৎপর সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে এলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে শুধু অতি ঘনিষ্ঠ বললে মনে একটু কম বলা হয় বিদ্যুৎ বরণ গায়েন সম্পর্কে। কার্যত অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের একরকম সদস্য বলেই তাঁকে মনে করতেন স্থানীয়রা। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বিদ্যুৎবরণ গায়েনকে জেরা করেছিল সিবিআই। ফের বিদ্যুৎবরণের বীরভূমের বাড়িতে হানা দিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, বিদ্যুৎবরণ বাড়িতেই রয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বলতেই বাড়িতে এসেছেন তদন্তকারীদের টিম। সূত্রের খবর, গত কয়েকবছর ধরে একদিকে যেমন অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি একেবারে রকেট গতিতে বেড়েছে তেমনি বিদ্যুৎবরণের সম্পত্তিও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এখানেই প্রশ্ন কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হলেন বিদ্যুৎবরণ?

এদিন তাঁর বাড়ির দরজা খোলাই ছিল। সেখান দিয়ে ঢুকে পড়েন সিবিআই আধিকারিকরা। আলাদাভাবে আর ডাকতে হয়নি। এরপরই তারা সটান দোতলায় উঠে যান।

এদিকে সূত্রের খবর, এই বিদ্যুৎবরণের উত্থান অত্যন্ত চমকপ্রদ। অত্যন্ত রহস্যময় ব্যক্তি এই বিদ্যুৎবরণ। অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল দুটি কোম্পানির ডিরেক্টর। তার মধ্য়ে কোম্পানির দ্বিতীয় ডিরেক্টর হিসাবে যার নাম রয়েছে তিনি আর কেউ নন, বিদ্যুৎবরণ গায়েন।

সূত্রের খবর, একটা সময় গাড়ির খালাসি ছিলেন। আর তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে কেষ্ট মণ্ডলের সঙ্গে তার ওঠাবসা বাড়তে থাকে। সুকন্যা সহ পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গেও তার নিবিড় সম্পর্ক। এমনকী অনুব্রতকে তিনি বাবা বলে ডাকতেন বলেও শোনা যায়। সেই বিদ্যুৎবরণ গায়েন অনেকদিন ধরেই সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায়।

সূত্রের খবর, তিনি বোলপুর পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী। কিন্তু তাঁর দাপট আর প্রতিপত্তি দেখলে একেবারে চোখ কপালে উঠে যাবে। সূত্রের খবর, তিনি ২০০৮ সালে তিনি গাড়়ির খালাসি হিসাবে কাজ যোগ দেন। আর ২০১১ সালের পর থেকে সেই বিদ্যুতের একেবারে বিদ্যুৎ গতিতে উন্নতি। একেবারে কেষ্ট মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী হয়ে যান তিনি। এমনকী বলা ভালো পরিবারেরই একজন। এতটাই নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মধ্য়ে। সূত্রের খবর, বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইসমিলের অন্যতম ডিরেক্টর হিসাবে নাম রয়েছে বিদ্যুৎবরণের। সেই সঙ্গেই অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলের সম্পত্তির নানা কাগজপত্রেও বিদ্যুতের নাম রয়েছে বলে খবর। সেই বিদ্য়ুতের বাড়িতে সিবিআই হানা।