Indira Gandhi float in Canada: ইন্দিরার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তৈরি ট্যাবলো ‘কোনও জাতিবিদ্বেষ নয়’, ভারতের জবাবে জানাল কানাডা

কানাডার গ্রেটার টরেন্টো এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৪ জুন।  এলাকায় এক ট্যাবলেতো তুলে ধরা হয়েছিল ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য। ট্যাবলোটিতে ইন্দিরার মৃত্যুর ঘটনার আদলে মডেল বানানো হয়েছিল। তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়ে দিল্লি। তার জবাবে কানাডা জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে কোনও জাতি বিদ্বেষ জড়িত নয়।

কানাডার ‘ল এনফোর্সমেন্ট’ বিভাগের তরফে ইন্দিরাকে ঘিরে ওই ট্যাবলো সম্পর্কে অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কানাডার গ্রেটার টরেন্টোর ব্রাম্পটনে ওই ঘটনা দেখা গিয়েছে। ব্রাম্পটনের মেয়র বলছেন, ‘পুলিশ ওই ভিডিয়ো দেখেছে। আর তারা মনে করছে যে এই ভিডিয়োতে কোনও জাতিবিদ্বেষগত সমস্যা নেই।’ যেদিন ঘটনাটি ঘটেছে, সেই দিন ব্রাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন ছিলেন না শহরে। কানাডার মেয়রের তরফে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, কানাডার আইন অনুযায়ী,  সেদেশের সকলেরই ‘ভাবনা , বিশ্বাস ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতা রয়েছে।’ কানাডার ‘চার্টার অফ রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস’ এর সেকশন ২ অনুযায়ী, এই আইন লাগু রয়েছে। এই আইনকে পাল্টাতে তা যুক্তরাজ্য সংক্রান্ত স্তরে পাল্টাতে হয়। এদিকে, ভারত সাফ জানায়, ‘এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিত সম্পর্কের জন্য ভালো নয়। কানাডার জন্য ভালো নয়।’

এদিকে, কানাডার রাস্তায় যে ট্যাবলোতে এই গোটা মৃত্যুকাণ্ড তুলে ধরে হয়েছে, সেখানে ইন্দিরার আদলে একটি মডেল তৈরি করা হয়। সেই মডেল সাদা শাড়ি পরিহিতা। সেখানে সাদা শাড়ি জুড়ে রক্তের দাগ। আর তাঁর দিকে দুই সৈনিক বন্দুক তাক করে রয়েছেন এমন মডেল গড়া হয়েছে। দুই সৈনিক পাগড়ি পরিহিত। উল্লেখ্য, সেখানে একটি সাদা পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘প্রতিশোধ’। ওই ট্যাবলোর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলাপাড়। এই ঘটনার সঙ্গে খালিস্তানি যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও কানাডায় পাঞ্জাব থেকে গিয়ে বহু ব্যক্তির বসবাস বহু যুগ ধরে। সেই প্রেক্ষাপটেও ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ট্যাবলো দিল্লির সামনে বহু প্রশ্ন দাঁড় করিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে খলিস্তানপন্থী নেতা জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রেনওয়ালে এবং তাঁর অনুগামীদের তল্লাশিতে ‘অপারেশন ব্লু স্টার’ এর নির্দেশ দেন ইন্দিরা। আর সেই অনুযায়ী অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে ঘটেছিল অপারেশন। মৃত্যু হয় বহু জনের।  তারপরই নিজের বাড়িতে খুন হন ইন্দিরা। কানাডার রাস্তায় চলা ট্যাবলোতে সেই হত্যাকাণ্ডকেই তুলে ধরা হয়।