Anurag Singh Thakur on NEP 2020: ‘ভারতীয়ত্বে’ ভরপুর নয়া শিক্ষানীতি, আর কী গুণ আছে? জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ হল নয়া শিক্ষাব্যবস্থার সুপারিশগুলির বিস্তৃত নির্দেশিকা। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর কথায়, এই শিক্ষানীতি এমন সময়ে আনা হয়েছে, যখন বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের কথা ভাবছিল। স্কুল শিক্ষায় সাম্প্রতিক অগ্রগতি (আরএএসই-২০২৩) নিয়ে ৩ দিনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হয় শুক্রবার। ওই দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অনুরাগ। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতির লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাকে প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয় করে তোলা। পড়ুয়াদের সার্বিক বিকাশের জন্য সমাজের সব ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণির বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সাজানো হয়েছে পাঠ্যক্রম। 

আরও পড়ুন: ওষুধের দাম নিয়ে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের, ডায়াবিটিস-সহ আর কী কী ওষুধ এই তালিকায়

আরও পড়ুন: মুখে দুর্গন্ধ থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, কালপ্রিট এক বিশেষ খাবার, বেশি খাচ্ছেন না তো

এছাড়াও তিনি বলেন,  এনইপি ২০২০ (জাতীয় শিক্ষানীতি আইন)-এর লক্ষ্য স্কুলশিক্ষার সব স্তরে প্রাথমিক সংস্কার করা, শৈশবের শিক্ষার ভিতটা আরও মজবুত করে তোলা। একইসঙ্গে তাঁর কথায় উঠে আসে শিক্ষানীতিতে ভাষার প্রসঙ্গ। এনইপি ২০২০ শুধুমাত্র একটি ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এতে পড়ুয়ার নিজের মাতৃভাষা এবং অন্যান্য স্থানীয় ভাষাগুলিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এনইপি ২০২০- এর গুরুত্ব নিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, এই শিক্ষা নীতি পশ্চিমের চিন্তাধারার লোকদের তৈরি নয়। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে তৈরি হয়নি এই সিলেবাস।  তাঁর কথায়, ‘এটি তৈরি করার জন্য সারা দেশ থেকে ছয় লাখের বেশি মানুষের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।’  অনুরাগের মতে, ভারতীয় শিক্ষায় ভারতীয়তা খুবই জরুরি। স্বাধীনতার পর প্রণীত শিক্ষানীতিতে তা ছিল না। কেন আমাদের প্রকৃত প্রাচীন ইতিহাস শেখানো হয়নি, তা নিয়েও আলোচনা জরুরি বলে জানান অনুরাগ। 

বক্তৃতায় উঠে আসে মুঘল ও ব্রিটিশদের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘মুঘল ও ব্রিটিশরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ ধ্বংস করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আমাদের সেই দাসত্বের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’ প্রসঙ্গত এই দিনই কর্ণাটকে নব‌নির্বাচিত কংগ্ৰেস সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মধু বাঙ্গারপ্পা বলেন, চলতি বছর থেকেই স্কুলের বইগুলি সংশোধন করা হবে। পুরানো বই ফেরত দিতে হবে না, তবে সঙ্গে আরেকটি পাঠ্যপুস্তক পাঠানো হবে স্কুলে। কী পড়াতে হবে ও কী বাদ দিতে হবে তার নির্দেশ থাকবে সেখানে। আগের বিজেপি সরকার নির্ধারিত সিলেবাস পাল্টাতেই এই উদ্যোগ।