Matua: ঠাকুরনগরের অশান্তির আঁচ হাসপাতালে, তুমুল অশান্তি, আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক

রবিবার ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে তার আগে থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ঠাকুরনগরে। আর তিনি চলে যাওয়ার পরে সেই অশান্তির আঁচ এসে পড়ল একেবারে গাইঘাটার চাঁদপাড়া হাসপাতালে। আর সেই অশান্তির জেরে বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া সহ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে গেরুয়া শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে। বিজেপি সমর্থকরা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এলে সেখানে তৃণমূলের লোকজন তাদের মারধর করে বলে অভিযোগ।

সূত্রের খবর, হাসপাতালে মতুয়া ভক্তদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল মারপিট বেঁধে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে মমতাবালা ঠাকুর দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছন। অন্যদিকে পুলিশের সঙ্গে সিআইএসেএফেরও বচসা বেঁধে যায়। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও দ্রুত হাসপাতালে যান। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে গোটা বিষয়টি জানাবেন বলে জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে রবিবার দিনভরই দফায় দফায় উত্তপ্ত হল ঠাকুরনগর চত্বর। সেই সঙ্গে মতুয়া ভোট কার দিকে সেটা পরখ করতেই শক্তিপ্রদর্শন করল তৃণমূল- বিজেপি দুই পক্ষই। তবে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন,ঠাকুরনগরে বিজেপির কোনও বিষয় নয়। এটা মতুয়া ভক্তদের জায়গা। তৃণমূল এখানে অশান্তি পাকাতে এসেছিল।

এদিকে মন্দির চত্বর থেকে হাসপাতালে অশান্তি ছড়াল সর্বত্র। বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া জানিয়েছেন, গাড়ি থেকে নামতেই ওরা এসে হামলা চালাল। অপর এক মহিলা জানিয়েছেন, আমাকে এসে মারল। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর ছিল ঘটনাস্থলে। আমার দুলটাও নিয়ে নিয়েছে। সব মিলিয়ে এই অশান্তির ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতোর চলছে পুরোদমে।

এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, জুতো পরে মন্দির চত্বরে উঠেছিল সিআইএসএফ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপিকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছেন। অন্যদিকে কুণাল ঘোষ টুইট করে জানিয়েছেন, জুতো পরে মন্দিরে ঢুকেছিল সিআইএসএফ। তারা মহিলাদের হেনস্থা করেছে। তাদের গয়না ছিনতাই করেছে। অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছেন। ধর্মীয় ভাবাবেগ সম্পর্কে তাদের কোনও শ্রদ্ধা নেই।

কুণাল লিখেছেন, নিজেদের সাংসদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মিস্টার অধিকারী দেখিয়ে দিয়েছেন মতুয়ারা বিজেপির রাজনীতির দাবার বোড়ে।