Fake ED officer: ইডি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি, কারা রয়েছে চক্রে? ধৃতকে হেফাজতে নিল পুলিশ

ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল এসএসবি’র এক হেড কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় আগেই অভিযুক্ত হেড কনস্টেবল সুকুমার কুমিল্লাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এবার তার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে তা জানার জন্য সুকুমারকে নিজেদের হেফাজতে নিল গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সুকুমার একটি চক্রের সঙ্গে কাজ করতো। সেই চক্রে ইডির বর্তমান এবং প্রাক্তন অফিসাররা থাকতে পারেন। তা জানার জন্যই সুকুমারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজেকে ইডি-র অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে সে তোলাবাজি করত এবং লোকজনকে হুমকি দিত। সুকুমার আগে কলকাতার ইডি অফিসে কাজ করত। তারপর এসএসবি’তে বদলি হয়ে যায়। কিন্তু, তারপরেও ইডি আধিকারিক সেজে ওই কনস্টেবল ব্যবসায়ীদের হুমকি দিত বলে অভিযোগ। গত মার্চ মাসে গল্ফগ্রিন এলাকার একটি কাফেতে ইডি-র অফিসার সেজে তোলাবাজি করতে গিয়েছিল সুকুমার। অভিযোগ, গল্ফ গ্রিনের উদয়শঙ্কর সরণিতে অবস্থিত ওই কাফেতে গত মার্চ ১২ মার্চ গিয়েছিল সুকুমার। সেখানে কাফের মালিক না থাকায় কাফের এক কর্মচারীকে সে জানায় যে দিল্লি থেকে এসেছে এবং নিজেকে ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পরিচয় দেয়।

পুলিশ জানতে পারে, সুকুমার কাফের মালিকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। এমনকী কাফের মালিকের কাছ থেকে নথি এবং ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয়। প্রথমে কাফের মালিক পুলিশকে কিছু জানাননি। পরে তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন ওই ব্যক্তি ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এসেছিল। এরপরে তিনি থানায় অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে গত এপ্রিল মাসে সুকুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, এর সঙ্গে ইডির বর্তমান বা প্রাক্তন কোনও অফিসাররা জড়িয়ে থাকতে পারে। মূলত তা জানার জন্য আলিপুর আদালতে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতের চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ। তার ভিতরে আলিপুর আদালত সুকুমারকে ১৪ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকুমার ইডিতে থাকার সময় প্রভাবশালী হলে বলে পরিচিত ছিল। ইডি থেকে এসএসবিতে যাওয়ার পরেও সুকুমার নিজের খাটিয়ে তোলাবাজি করে যাচ্ছিল। বিভিন্ন জায়গায় সে তোলাবাজি করেছে। সুকুমারের সঙ্গে আরও কারা কারা রয়েছে তা জানার জন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একাধিক দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মুহূর্তে পুলিশের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।