HC on Central Force in Panchayat Vote: ‘হনুমান জয়ন্তীর সময়ও…’, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে মত হাই কোর্টের

২০১৮ সালে লাগামছাড়া হিংসার ঘটনা ঘটেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়। ২০২৩ সালে তো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে হিয়েছে হিংসা। চলেছে গুলি। ঝরেছে রক্ত। রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এই আবহে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট কোনও নির্দেশ না দিলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছে। আজ এই মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি হনুমান জয়ন্তীর উদাহরণ তুলে ধরেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে ভালো হয়।’

এদিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি নিজের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘হনুমান জয়ন্তীর সময় হাই কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল। এতে সাধারণ মানুষের মনোবল বেড়েছিল। সেই সময় রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতেই এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর এখন পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রায় ১০টি জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে। তাহলে প্রয়োজনে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। রাজ্য নিজের মতোই বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে। এই নিয়ে কমিশন ভাবুক।’ এদিকে ফের একবার আজ সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে ভোটের কাজ করানো নিয়ে সতর্ক করে দেয় আদালত।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসছে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুন হন। দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী। এদিকে ভাঙড় ২ নং ব্লকে আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়া ঘিরেও উত্তেজনা ছড়ায়। বিদ্যুৎ ঘোষ নামে এক সরকারি কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এদিকে ডোমকলেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। যাতে গ্রেফতার করা হয় ১৭ জনকে।

এদিকে রাজ্যে মোট ২২ টি জেলায় ৩,৩১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। মোট পঞ্চায়েত আসনের সংখ্যা ৬৩,২৮৩। মোট নির্বাচন কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮,৫৯৪। নয়া নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন, দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়া রাজ্যের সর্বত্র ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের নির্বাচন হবে। ওই দুটি জেলায় শুধু দ্বিস্তরীয় নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।