Punjab Crime case: মুসেওয়ালা হত্যায় অভিযুক্তের যমজ ভাই গ্রেফতার ডেরা ভক্তকে খুনের অভিযোগে, তদন্তে কী জানা গেল?

সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এবার জড়াল ডেরা সচ্চাসৌদার এক ভক্তের হত্যাকাণ্ড। পঞ্জাব পুলিশের অ্যান্টি গ্যাংস্টার টাস্কফোর্স সোমবাৎ যমজ ভাইকে গ্রেফতার করে। ধৃত আবার সিধু মুসেওয়ালার হত্যার দায়ে অভিযুক্তের ভাই। জানা যায়, ডেরা সচ্চা সৌদার এক ভক্ত প্রদীপ সিং কাটারিয়াকে খুনের দায়ে ওই দুই ভাই অভিযুক্ত।

সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মনপ্রীতের ভাই পঞ্জাবের ফরিদকোটের ধাপাই গ্রামের হরপ্রীত সিং ভাউ, যাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ডেরা ভক্তের খুনের অভিযোগে। তার সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল গোল্ডি সিং ব্রারের। গ্যাংস্টার গোল্ডি সারা পাঞ্জাবে একের পর এক অপরাদে নাম জড়িয়েছে। এদিকে, নভেম্বরের ১০ তারিখে, ডেরার ভক্ত প্রদীপ সিংকে তাঁর দোকানের ভিতর ৬ জন শার্প শ্যুটার খুন করে পালায়। প্রদীপের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অপবিত্রতার দায়ের অভিযোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ  ছিল, পবিত্র গুরুগ্রন্থ সাহিবের একটি কপি চুরি করার, এছাড়াও ধর্মীয় অপবিত্রতার নানান অভিযোগ ছিল ফরিদকোটে। ২০২১ সালের ৩ অগস্ট তাঁকে জামিনে রেহাই দেওয়া হয়।  

হরপ্রীত সিং ভাউয়ের যমজ ভাই মনপ্রীতই হল সেই ব্যক্তি যাকে সিধু মুসেওয়ালা কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২২ সালে সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে মনপ্রীত ছিল।  ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মনপ্রীত চেষ্টা করে যাচ্ছিল সিধুকে হত্যা করতে। প্ল্যানিং ছিল তখন থেকেই। এরপর ২৯ মে সেই বছরই পঞ্জাবের মনসা গ্রামে হত্যা করা হয় সিধুকে। সিধুকে ঘিরে মনপ্রীত বহুদিন ধরে রেইকি করেছে। সিধুর হাঁটা চলা, গতিবিধি সমস্তই ছিল মনপ্রীতের নজরে। সিধু হত্যায় সমস্ত রকনের সমর্থন মনপ্রীত যুগিয়েছে খুনিদের। এমনই অভিযোগ রয়েছে।  

পঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, হরিয়ানার কাছে পঞ্জাব সীমান্তের পত্রাণ গ্রাম থেকে হরপ্রীতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পঞ্জাব পুলিশ বলছে, ‘সে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী। হরপ্রীত পলাতক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগে ছিল।’ পুলিশের তরফে এআইজি সন্দীপ গোয়েল বলছেন,’ তার কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে প্রদীপের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’ এছাড়াও প্রদীপ হত্যাকাণ্ডে হরপ্রীত ব্যাপক রেইকি করেছে। বহুদিনের পরিকল্পনার পর খুন হয়েছে প্রদীপ।