WB retail price inflation: বাংলায় ১০ বছরে জিনিসের দাম বেড়েছে দেড়গুণেরও বেশি, নেপথ্যে কোন কারণ লুকিয়ে

খাবার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, তরতরিয়ে দাম বাড়ছে সব জিনিসের। তবে সারা দেশে দাম বৃদ্ধির হার এক নয়। একেক রাজ্যে হার অনেকটাই বেশি। আবার একেক রাজ্যে অনেকটাই কম মূল্যবৃদ্ধি যন্ত্রণা‌। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতি মাসেই মূল্যবৃদ্ধির এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়‌। খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির চেহারা কেমন, তা সেই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট হয়। তবে সাধারণ পরিসংখ্যানের পাশাপাশি রাজ্যভিত্তিক ছবিগুলিও ফুটে ওঠে সেই পরিসংখ্যানে। তবে এতো ডামাডোলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের চেহারা কি খুব নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো? কী বলছে পরিসংখ্যান?

আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে গেঁটে বাত, নাভিতে এই ‘সুধা’ ঢাললে সেরে যায় বড় বড় রোগ

আরও পড়ুন: চুইং গাম থেকে কেক, সবেতেই ক্যানসারের বিষ! আপনার খাবারেও কৃত্রিম চিনি নেই তো

প্রতি রাজ্যের মূল্যবৃদ্ধির ধরনটাও আলাদা। তাদের খাদ্যাভ্যাস থেকে জীবনযাপনের কায়দার উপর তা নির্ভর করে‌‌। গত ১০ বছর অর্থাৎ তৃণমূল সরকারের আমলে কেমন ছিল মূল্যবৃদ্ধির হার? তথ্য খতিয়ে দেখলে চোখে পড়বে, বড় রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির হার অনেকটাই বেশি। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নাম লিখিয়েছে তেলেঙ্গানা, তামিলনাডুও। মূল্যবৃদ্ধির ধরনটা কেমন, তা একটা উদাহরণ দিলে পরিষ্কার বোঝা যাবে। গড়ে যে জিনিসের দাম ২০১২-১৩ সাল নাগাদ ১০০ টাকা ছিল, তারই দাম ২০২২-২৩ সালে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৭৫ টাকায়। কিছু ক্ষেত্রে দাম এর থেকেও বেশি বেড়েছে বলে জানাচ্ছে পরিসংখ্যান‌। অর্থাৎ সাধারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে ১.৭৫ গুণ। তবে এমন আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির কারণ জ্বালানি। জ্বালানির দাম বড়সড় থাবা ফেলেছে ত্রিপুরার অর্থনীতিতে। সে রাজ্যে জ্বালানি ও আলোর খাতে সাধারণ মানুষের খরচের হার গত ১০ বছরে তিনগুণ বেড়েছে‌। তুলনায় রাজস্থানে সেই হার ১.২৫ গুণ। 

জ্বালানির দাম বাড়লে বেড়ে যায় পরিবহনের খরচ। কৃষিক্ষেত্র বা কারখানা থেকে উৎপাদিত দ্রব্য বাজারে পৌঁছে দিতে বেশি খরচ হয়। সেই খরচ ঢুকে যায় জিনিসের দামে। ফলে মূল্যবৃদ্ধি! তবে দাম কি শুধুই জ্বালানির উপর নির্ভর করে? জ্বালানির মধ্যেও থাকে কেন্দ্র ও রাজ্যের করের ভাগ। এইখানেও কিন্তু গ্যাঁড়াকল। যে রাজ্যে ভর্তুকির পরিমাণ বেশি, সে রাজ্যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও ভর্তুকি দিয়ে জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে। সেই ভর্তুকি না থাকার  কারণেই কি পশ্চিমবঙ্গের মূল্যস্ফীতি বেশি? প্রশ্ন উঠছেই।