বর্ষা প্রবেশ করেছে বাংলায়। আর বর্ষা আসলেই মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়ে যায়। গত বছর কলকাতায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল ডেঙ্গি। তাই বাড়িতে যাতে কোনওভাবেই জল না জমে তা নিয়ে বারবার নাগরিকদের সতর্ক করেছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তারপর দেখা যায়, অনেকেই সেই কথায় কর্ণপাত করছেন না। ফুলের টব হোক বা ভাঙা আসবাবপত্র, সেখানে জল জমে বংশবিস্তার করছে ডেঙ্গি মশার লার্ভা। এবার অবাধ্য নাগরিকদের শায়েস্তা করতে করা পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। কোনও বাসিন্দার বাড়িতে এরকম ভাবে জল জমতে দেখা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে পুর আদালতে মামলা করবে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা পর্যন্ত করা হতে পারে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গত পাঁচ মাসে ৩৫ জনকে মোটা টাকার জরিমানা দিতে হয়েছে। প্রথমে জমা জল পরিষ্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাকে সতর্ক করবে কলকাতা পুরসভা। এরপরে তারা পুরসভার কথায় কর্ণপাত না করলে ৪৯৬ এ ধারায় নোটিশ পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রেও কাজ না হলে পুর আদালতে মামলা করবে কলকাতা পুরসভা। আগে ডেঙ্গির বাহক এডিস মশা পরিষ্কার জলে ডিম পারত। এখন এই মশা নোংরা জলেও ডিম পাড়ে। আর তাতেই বিপদ দেখা দিচ্ছে। অনেকেই বাড়িতে জমে থাকা জল পরিষ্কার করেন না বা বাড়ির খোলা নালার জমা জলে বংশ বিস্তার করে এই মশা। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। তাই পুরসভার তরফে বারবার নাগরিকদের সতর্ক করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই বর্ষা আসার আগেই রাজ্যে ১২০০ জন মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণ বাড়িতে তো বটেই তালাবন্ধ বাড়িতেও নজর রাখছে পুরসভা। ওই সমস্ত বাড়ির মালিকরা থাকেন বাইরে অথবা প্রবাসে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা ওই সব বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ।
প্রসঙ্গত, বর্ষার প্রাক্কালে ১৪৪টি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে কলকাতা পু। সেক্ষেত্রে কোথাও আবর্জনা জমে থাকলে তা নিয়ে পুরসভার তরফে সতর্ক করা হবেম তারপরেও কথা না শুনলে ৪৯৬ এ ধারায় নোটিশ পাঠানো হবে। তাতেও কাজ না হলে পুর আদালতে মামলা করবে কলকাতা পুরসভা। আমলা চলাকালীন উভয় পক্ষকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।