Govt on CoWIN Data breach allegation: ‘CoWIN-কে বদনামের চেষ্টা’, তথ্য চুরির অভিযোগ নিয়ে পালটা তোপ কেন্দ্রের

সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে কোউইন অ্যাপ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে। এই দাবিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি দাবি করেন যে কোউইনকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, টেলিগ্রামে যে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তার সঙ্গে কোউইনের কোনও সম্পর্ক নেই। এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তদন্তকারী সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। গতকাল প্রাথমিক তদন্তের পর তারা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে টেলিগ্রাম বট-এ যে ডেটা রয়েছে তা কোউইন অ্যাপের নয়। সেই ডেটা হয় জাল ছিল বা তৃতীয় পক্ষের কোনও উৎস থেকে তা সংগ্রহ করা হয়েছিল।’ প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২১ সালেও একবার দাবি করা হয়েছিল যে কোউইন হ্যাক করা হয়েছে এবং ১৫ কোটি ভারতীয় নাগরিকের তথ্য বিক্রি করা হচ্ছে ডার্ক ওয়েবে। যদিও পরবর্তীতে সেই দাবি ভুয়ো বলে দাবি করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ভারতে কোভিড টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করার জন্য কোউইন অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়। এই অ্যাপ থেকে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি যাওয়ার আশঙ্কার কথা সামনে এসেছিল আগেও। তবে সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কোউইন থেকে কোনও ব্যক্তির তথ্য ফাঁস হয়নি। তবে নতুন করে কোউইন নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, কোউইন হ্যাক করা হয়েছে এবং বহু রাজনীতিক এবং সাংবাদিকের ব্যক্তিগত তথ্য টেলিগ্রাম অ্যাপে প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও বহু আম নাগরিকের তথ্যও নাকি ফাঁস হয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে তৃণমূল দাবি করে, টেলিগ্রামে কোনও টিকা নেওয়া ব্যক্তি নিজের মোবাইল নম্বর দিলেই সেই ব্যক্তির আইডি নম্বর, ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার এবং আরও তথ্য সামনে চলে আসছে।

মালায়ালাম মনোরমার এক রিপোর্টে আবার দাবি করা হয়েছে, এই ডেটা লিকের জেরে লাখ লাখ ব্যক্তির প্যান কার্ড, ভোটার আইডি, আধার কার্ডের তথ্য টেলিগ্রামে উপলব্ধ। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাকেত গোখলে গতকালটুইট করে অভিযোগ করেন, এটা জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় উদ্বেগের বিষয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, বহু ব্যক্তির আধার কার্ড নম্বর, লিঙ্গ, জন্ম তারিখের মতো তথ্য ফাঁস হয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পদক কেসি বেণুগোপালের তথ্য টেলিগ্রামে উপলব্ধ। এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের তথ্যও ফাঁস হয়েছে। তৃণমূল নেতা সাকেল গোখলে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ‘সেন্সর’ করা স্ক্রিনশটও পোস্ট করেন। যদিও হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।