NEET qualifiers in Kashmir: কোচিং নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না, নিটে সফল কাশ্মীরের রঙ মিস্ত্রি, পাশ করলেন ইমামের যমজ কন্যাও

আশিক হুসেন

ইউজিসি নিট( UGC National Eligibility cum Entrance Test-NEET) 2023 Results) রেজাল্টে একের পর এক নজরকাড়া ছবি। কাশ্মীরের কুলগামে এক ইমামের যমজ কন্য়া নিট পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে পাশ করেছেন। অন্য়দিকে এক রঙ মিস্ত্রিও নিট পরীক্ষায় একেবারে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম সৈয়দ সাজাদের যমজ কন্য়ার এই সাফল্য়ে গর্বিত গোটা গ্রাম। প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েই সৈয়দ সাবিয়া পেয়েছেন ৬২৫ ও সৈয়দ বিসমাহ পেয়েছেন ৫৭০ নম্বর।

বিসমাহ জানিয়েছেন, ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগে খুব ভয় লাগত। কিন্তু ফলাফল বের হতেই দেখলাম দুজনেই পাশ করেছি। আমরা খুব খুশি। অভিভাবকরাও অত্য়ন্ত খুশি। তারা জানিয়েছেন, বাবা মা, শিক্ষকরা এমনকী গ্রামের বাসিন্দারাও আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। আমাদের গ্রামের অনেকেই বলতেন আমরা কিছু একটা করে দেখাব। খুশিতে ঝলমল করছেন সাবিয়া।

বিসমাহ জানিয়েছেন, হতাশ হবেন না। একবার না হলে আবার চেষ্টা করুন। কিছুই অসম্ভব নয়। যদি এবছর না হয় তবে পরের বার অবশ্য়ই হবে। তিনি বলেন, নিটের ফলাফলটাই জীবনে সব নয়। যদি কেউ অন্য ফিল্ডে গিয়ে সফল হতে চান সেই সুযোগটাই তাদের দিন।

তাদের বাবা সৈয়দ সাজাদ জানিয়েছেন, মেয়েদের উন্নতির জন্য সব করেছি। তারা শ্রীনগরে কোচিং সেন্টারে যেতে চেয়েছিল। সেখানেই পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, মসজিদে মাঝেমধ্য়ে না গিয়ে মেয়েদের কাছে থেকেছি। তাদের বইয়ের জন্য় যাতে সমস্যা না হয় সেটা করে গিয়েছি।

পুলওয়ামার অপর এক যুবক যিনি রঙমিস্ত্রির কাজ করেন তিনি নিট পাশ করেছেন। নাম আহমেদ গানাই। তিনি পেয়েছেন ৬০১ নম্বর। অত্যন্ত গরিব পরিবারের সন্তান। প্রাইভেট কোচিং নেওয়ার মতো টাকাও ছিল না। দিনের বেলা রঙ মিস্ত্রির কাজ। আর রাতে পড়াশোনা। তাতেই সাফল্য।

তিনি বলেন, আমি একটা বাড়িতে রঙ করছিলাম। তখনই জানতে পারলাম আমি নিট পাশ করেছি। তিনি বলেন,১১ ও ১২ ক্লাসের পাঠ্যবইগুলো খুঁটিয়ে পড়তাম। বিগতদিনের প্রশ্নপত্রগুলো ভালো করে সমাধান করেছি। নিজে নিজেই পড়েছি। তিনি বলেন, একবছর যদি সফল না হন তবে হাল ছাড়বেন না। আবার চেষ্টা করুন। কঠিন পরিশ্রম করলে তার ফল মিলবেই।

শ্রীনগরে যমজ বোন রুতবা বশির ও তুবা বশির পেয়েছেন যথাক্রমে ৬৪৫ ও ৫৭৪ নম্বর। তাদের সম্পর্কিত বোন আরবিশ পেয়েছেন ৫৬৫ নম্বর।