Panchayat election 2013: সংরক্ষণে মুসলিম ‘তোষণ’ কেন? প্রশ্ন সুকান্তের, পাল্টা জবাব কুণালের

মুসলিম ‘তোষণ’ নীতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের বঞ্চিত করছে। মঙ্গলবার বিলাসপুরে এক সাংবাদিকে বৈঠকে এমনই অভিযোগ করেছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তাঁর বক্তব্যের প্রতিবেদনকে টুইটে উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। টুইটেই তার জবাব দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি কটাক্ষ,’পঞ্চায়েত ভোট আসতেই সাম্প্রদায়িকতার বিউগল নিয়ে মাঠে নেমে পড়়েছে বিজেপি।’

কুণাল ঘোষ লিখেছেন,’এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো, ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেসের (এনসিবিসি) চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ আহির হংসরাজ কিছু পিছিয়ে পড়া জাতিকে তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। চেয়ারম্যানকে বলা দরকার, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় যে কোনও বর্ণ, হিন্দু বা মুসলিমের অন্তর্ভুক্তি অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে করা হয়।’

এই প্রসঙ্গে কুণাল রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ‘আটকে রাখার’ অভিযোগের উল্লেখ করে বলেন, ‘এনসিবিসি-র চেয়ারম্যান এবং জেপি নড্ডা রাজ্যের কল্যাণ নিয়ে যদি সত্যিই চিন্তিত হন, তবে তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করা উচিত, বাংলার ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল ছেড়ে দিতে যা তাঁর সরকার আটকে রেখেছে।’

সুকান্ত মজুমদার তাঁর টুইটে লিখেছেন,’মমতার সরকার মুসলিমদের সন্তুষ্ট করার জন্য ওবিসি কোটায় তাদের সংরক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছে। বাংলায় ৯১.৫ শতাংশ মুসলমানদের সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে অন্য দিকে অন্যান্য ওবিসিদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

তবে ই প্রথম নয়, এর আগে একধিকবার বিজেপি এনআরসি-সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মুসলিম ‘তোষণের’ অভিযোগ এনেছে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের এই অভিযোগ তোলার পিছনে ভোটের আগে বিভাজনের রাজনীতি দেখছে শাসক দল। 

(পড়তে পারেন। ‘‌মানুষের নিজেরই নিজের পরামর্শ নেওয়া উচিত’‌, পরিবারতন্ত্র নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ অভিষেকের‌) 

নাড্ডা সংখ্যালঘু কমিশনের তথ্য উল্লখে করে অভিযোগ করেছেন, ‘বাংলায় ওবিসি তালিকায় ১৭৯টি জাতি অন্তর্ভুক্ত ছিল এর মধ্যে ১১৮ টি মুসলিম সম্প্রদায়ের।’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘বাংলাদেশে থেকে অনুপ্রেবশকারী ও রোহিঙ্গাদের ওবিসি শাংসপত্র দেওয়া চেষ্টা চলছে। যা আরও বড় ষড়যন্ত্র।’ তবে নড্ডা তাঁর বক্তব্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গের কথা উল্লেখ করেননি, একই নীতির জন্য অবিজেপি শাসিত রাজ্য রাজ্যস্থান, বিহার, পঞ্জাবের প্রসঙ্গও এনেছেন। তাঁর অভিযোগ, এর ফলে চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পিছিয়ে থাকা মানুষ।