Recruitment Scam: ‘হাওলা মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা লেনদেন’, সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডি-র

হাওলার মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বিভিন্ন সংস্থায়। চারটি সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর হাতে। বুধবার আদালতে সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলল ইডি।

এ দিন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নগরদায়রা আদালতে পেশ করা হয়। বুধবারই তার ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

ইডি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার আর্জি জানায় আদালতে। জামিনের আর্জি জানান সুজয়কৃষ্ণ। বিচারক জামিনের আর্জি খারিজ করে তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, হাওলার মাধ্যমে টাকা আবসন শিল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ইডির দাবি, ১০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে।

জামিনের আর্জি জানিয়ে সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী ইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, আগে ইডি অভিযোগত্রে লিখেছিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের কাছে থেকে ৭০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। কিন্তু বুধবার অভিযোগপত্র তার উল্লেখ ছিল না। তাঁর আইনজীবী বলেন, গতবার হেফাজতে নেওয়ার জন্যই কি ওই অভিযোগ করেছিল।

ইডির আইনজীবী বলেন দুর্নীতি, ‘মানি ট্রেল (আর্থিক লেনদেন)-এর ক্লাসিক কেস’। সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী বলেন, কোনও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মেলেনি। তাই সুজয়কৃষ্ণকে জামিন দেওয়া হোক। সব শুনে বিচারক তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে নির্দেশ দেন।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা উঠে আসে। নিয়োগ দুর্নীতিকে আর এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলও সিবিআইয়ের কাকুর নাম উল্লেখ করেছিলেন। 

তার পর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার নজরে চলে আসেন। তাঁকে বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে তল্লাশিতে যায় ইডি। তাঁর কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডি।

এদিন আদালতে তোলার আগে সুজয়কৃষ্ণকে জোকা ইএসআইয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সাহেবের নাম বলার জন্য চাপ দেওয়া হয়নি।’ 

এর আগে তিনি বলেন, ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য ইডি চাপ দিচ্ছে। বুধবার সেই অভিযোগকে নিজেই খারিজ করে দেন। 

‘কালীঘাটের কাকু’-গলার স্বর পরীক্ষা করতে চায় ইডি। তাঁর ঘনিষ্ঠ সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে পাঠানো সমস্ত অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট ফোন থেকে মুছে ফেলতে বলেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ ঘেঁটে সেই তথ্য ইডি উদ্ধার করেছে। তিনি যে নির্দেশ দিয়ছিলেন সেই গলার স্বরের সঙ্গে ‘কালীঘাটের কাকু’র স্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখার জন্য স্বর পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছে ইডি।