Nations League Football: Luca Modric Stars As Croatia Stun Hosts Netherlands To Reach Nations League Final

নয়াদিল্লি: ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে রানার্স। ২০২২ বিশ্বকাপে তৃতীয়। বিশ্ব মঞ্চে ক্রোয়েশিয়া (Croatia) যেন ধারাবাহিকতার নজির গড়ে চলেছে। এবার আর একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন ক্রোটরা। নেদারল্যান্ডসকে (The Netherlands) রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৪-২ গোলে হারিয়ে নেশনস লিগ ফুটবলের ফাইনালে পৌঁছে গেল ক্রোয়েশিয়া।

দলের জয়ে ফের উজ্জ্বল লুকা মদ্রিচ (Luka Modric)। ক্রোট তারকা যেন বয়সকে হার মানাচ্ছেন। বয়স যে নেহাত একটা সংখ্যা, প্রমাণ করে চলেছেন মদ্রিচ। ডাচদের বিরুদ্ধে গোল করলেন তিনি। 

উয়েফা নেশনস লিগের আয়োজক নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চমকে দিল ক্রোয়েশিয়া। বুধবার রাতে নেদারল্যান্ডসকে ৪-২ ব্যবধানে হারায় তারা। ২০১৮ বিশ্বকাপে রানার্স এবং ২০২২ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়ার পর বিশ্বমঞ্চে আবার বড় সাফল্য পেল ক্রোয়েশিয়া। ক্রোটদের সামনে ট্রফি জয়ের হাতছানি।

ম্যাচের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ২-২। খেলা গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। ৯৮ মিনিটে ব্রুনো পেতকোভিচ দূরপাল্লার শটে গোল করেন। সেই গোলেও সহায়তা ছিল মদ্রিচের। ১১৬ মিনিটে ডাচ ডিফেন্ডার টাইরাল মালাসিয়া নিজেদের বক্সে মদ্রিচকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া। পেনাল্টি আদায়ের পর স্পটকিক থেকে গোল করে ক্রোটদের জয় নিশ্চিত করেন মদ্রিচ। ম্যাচের সেরাও হন তিনি।

ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডসই। ৩৪ মিনিটে ডাচদের এগিয়ে দেন দনিয়েল ম্যালেন। ৫৫ মিনিটে ক্রামারিচের পেনাল্টি থেকে করা গোলে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। ৭২ মিনিটে মারিয়ো পাসালিচের গোলে মদ্রিচরা এগিয়ে গেলেও, ম্যাচ শেষের কিছুক্ষণ আগে নোয়া ল্যানগের গোলে সমতা ফেরায় ডাচরা।

 


অতিরিক্ত সময়ে দুই গোল হজম করে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে ফের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে ডাচদের। ১৯৮৮ সালে ইউরো কাপের পর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে আর কোনও ট্রফি জিততে পারেনি নেদারল্যান্ডস। ডাচ অধিনায়ক ভার্গিল ভ্যান ডাইক বলেছেন, ‘আমরা সিংহের মতো লড়াই করেছি। কিন্তু ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না। ভীষণ হতাশাজনক। আমরা জানতাম কঠিন ম্যাচ হবে, তবু আমরা দারুণ লড়েছি।’

অন্যদিকে, শেষ ১৬ ম্যাচে মাত্র একটিতেই হেরেছে ক্রোয়েশিয়া। 

আরও পড়ুন: Pritam Kotal Exclusive: পাখির চোখ এশিয়ান কাপ, প্র্যাক্টিসেও গোল না খাওয়ার পণ নিয়ে নামেন প্রীতম