Power cut: প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ বিদ্যুৎ সরবরাহ, নদিয়ায় বিক্ষোভ গ্রাহকদের

গ্রীষ্মের দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। তার উপর লোডশেডিংয়ের জেরে ভ্যাপসা গরমে অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। কোনও কোনও জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এরকমই বিদ্যুৎ না থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন নদিয়ার শক্তিনগরের মানুষ। এই অভিযোগে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন সাধারণ গ্রাহকরা। অভিযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহ বোর্ড থেকে দীর্ঘ সময় ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে অফিসে অভিযোগ জানালেও কোনওরকম শুরাহা মেলেনি। মিলেছে শুধু অসম্মান। অবশেষে গ্রাহকেরা আজ বৃহস্পতিবার নদিয়া জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরে বিক্ষোভ দেখান।

এদিন বিক্ষোভ দেখে বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরের আধিকারিকরা অফিস থেকে পালিয়ে যায় বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভকারীরা জানান, কোনও আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। বিক্ষোভ দেখেই তাঁরা পিছনের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যান। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা দফতরের ভিতরে গিয়েছিলাম। সেই দফতরে গিয়ে দেখি পাখা, লাইট চললেও দফতরে নেই কোনও লোক বা আধিকারিক ছিল না।’ তাঁদের দাবি, অতিরিক্ত হারে বিদ্যুতের বিল আসছে। আর সেই বিল দিতে না পারলে পরবর্তী সময়ে লাইন কেটে দেওয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, শক্তিনগর এলাকার একাধিক মানুষ জড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন শিল্পের সঙ্গে। তার মধ্যে রয়েছে বস্ত্র তৈরির কারখানা। কিন্তু, বিদ্যুৎ না থাকায় মেশিন চলছে না। আর কাজ না হলে তারা বেতনও পাবেন না। তাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন এই রকমই চলে আসছে। তারা বেতন না পাওয়ার ফলে বিদ্যুতের বিল দিতে পারেন না। তাদের দাবি, একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ২ থেকে ৫ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে বিদ্যুৎ আসে না। তাই বাধ্য হয়ে এদিন গ্রাহকরা বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পুলিশ সেখান থেকে চলে গেলেও আন্দোলনকারীরা পুনরায় গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাদের একটাই দাবি, ‘বিদ্যুৎ দিন।’ যদিও বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক জানান, ঝড়ের কারণে কোথাও পোল ভেঙে গেলে বা কোন সমস্যা হলে তবেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এক্ষেত্রে তাদের কোনও কিছু করার নেই। এছাড়াও অতিরিক্ত লোড হয়ে গেলে তখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এইভাবে দায়িত্ব এড়ানো যায় না বলেই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আন্দোলনকারীরা।