TN withdraws general consent for CBI: তদন্তে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার, মন্ত্রীর গ্রেফতারির পরই মমতার পথে স্ট্যালিন

কয়েকদিন আগেই তামিলনাড়ুতে পা রেখে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এর পরপরই তামিলনাড়ুর মন্ত্রীকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই সবের মাঝে তামিলনাড়ুতে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ চড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করল সেরাজ্যের সরকার। এর ফলে আগামীতে তামিলনাড়ুতে যেকোনও মামলার তদন্ত করতে হলে এমকে স্ট্যালিনের সরকারের অনুমতি নিতে হবে সিবিআই-কে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একই ভাবে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছিল। প্রসঙ্গত, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইন, ১৯৪৬-এর অধীনে গঠন করা হয়েছিল সিবিআই।

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বিরোধীরা অভিযোগ করে এসেছে যে রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে লেলিয়ে দিয়ে রাজনীতিকদের হেনস্থা করছে বিজেপি। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি রাজস্থান, কেরল, পঞ্জাব, তেলঙ্গনা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় আগেই সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছিল। তামিলনাড়ু এই তালিকায় নবতম সংযোজন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সে রাজ্যের মন্ত্রী ভি সেন্থিল বালাজিতে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। অর্থের বিনিময়ে পরিবহণ দফতরে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে সেন্থিলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এই দুর্নীতি ঘটেছিল। সেই সময় সেন্থিল বিজেপির শরিক দল এআইএডিএমকে-তে ছিলেন। তামিলনাড়ুর পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী।

সেন্থিলের বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা জেরা করেছিল সিবিআই। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর আগে আয়কর দফতর তাঁর বিরুদ্ধে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল। এদিকে সিবিআই গ্রেফতারির পর সেন্থিলকে টিভি ক্যামেরার সামনে ভেঙে পড়তে দেখা যায়। পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, মন্ত্রীর হার্টের সার্জারি প্রয়োজন। এই আবহে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল সিবিআই-এর কর্মপদ্ধতি নিয়ে। এই সব বিতর্কের মাঝেই এমকে স্ট্যালিন গতকাল সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নেন। এই আবহে এর পর থেকে সেই রাজ্যে যেকোনও মামলার তদন্ত করতে গেলে আগে সিবিআই-কে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে। স্ট্যালিনের সম্মতি না পেলে সংশ্লিষ্ট মামলায় সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। অবশ্য যদি না আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে থাকে। আমাদের রাজ্যেও এখন সিবিআই-এর তদন্তের সাধারণ সম্মতি নেই। নিয়োগ দুর্নীতি বা কয়লা ও গরু পাচারের মতো মামলায় আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে এরাজ্যে।