আপনি ট্রেনে চেপে কোথাও হয়তো যাচ্ছেন। আচমকাই দেখলেন আপনার ব্যাগ উধাও হয়ে গিয়েছে। এদিকে আপনি তো ততক্ষণে আপনার ব্যাগ খুঁজছেন আর রেলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন। তবে রেলের মধ্য়ে যাত্রীদের এই চুরির ঘটনা নিয়ে এবার বিশেষ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। কী সেই পর্যবেক্ষণ সেটা জেনে নিন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ট্রেনে যাতায়াত করার সময় যাত্রীদের কাছ থেকে কোনও কিছু চুরি হলে সেটা রেল পরিষেবার কোনও ঘাটতি হিসাবে ধরা যাবে না।
ভ্যাকেশন বেঞ্চের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, যদি যাত্রীরা তাঁদের কোনও জিনিসপত্র ট্রেনের মধ্য়ে হারিয়ে ফেলেন তবে ভারতীয় রেলের কাছ থেকে তিনি কোনও ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন না।
এদিকে সম্প্রতি ক্রেতা সুরক্ষা আদালত এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য় রেলকে নির্দেশ দিয়েছিল। কারণ তিনি দাবি করেছিলেন ওই পরিমাণ টাকা রেল সফরের সময় তাঁর কাছ থেকে চুরি হয়েছিল। তবে সেই নির্দেশ কার্যত খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আমরা বুঝতে পারছি না রেল সফরের মধ্য়ে চুরি হলে সেটা কীভাবে রেল পরিষেবার ঘাটতি বলে গণ্য করা হবে? কারণ যাত্রী তিনিই তো তাঁর জিনিসপত্র তিনি নিজেই রক্ষা করতে পারেননি।
আসলে উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দা দাবি করেছিলেন, তার কোমরের সঙ্গে বেল্ট দিয়ে এক লাখ টাকা বাঁধা ছিল। কিন্তু রেল সফরের সময় সেটা খোয়া যায়। তবে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ মানতে চায়নি দেশের শীর্ষ আদালত।
এদিকে ট্রেনে যাওয়ার সময় অনেকেরই মাঝেমধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে। অনেক সময় যাত্রীরা নামার সময় জানতে পারেন তার ব্যাগ বা অন্য জিনিস তিনি পাচ্ছেন না। পরে বোঝা যায় সেটি চুরি হয়ে গিয়েছে। তবে এবার এনিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ ট্রেনে যাওয়ার সময় সেই জিনিসের প্রতি নজর রাখতে হবে যাত্রীকেই। চুরি গেলেই রেল পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে এবার বিশেষ পর্যবেক্ষণ আদালতের।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যাত্রীদের কাছ থেকে জিনিসপত্র চুরি গেলে সেটা রেল পরিষেবার ঘাটতি হিসাবে বলা যাবে না। তাদের জিনিসপত্র যাতে চুরি না যায় সেটা নজরে রাখতে হবে যাত্রীদেরই ।