Child selling: সদ্যোজাত শিশুকে নার্সিংহোম থেকে পাচার, গ্রেফতার অভিযুক্ত চিকিৎসক

মহারাষ্ট্রে ফের শিশু বিক্রির অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্রের অজনি থানার পুলিশ। অভিযোগ জন্ম সার্টিফিকেট জাল করে ওই শিশুকন্যাকে বিক্রি করেছিলেন ৪২ বছর বয়সি চিকিৎসক। নাগপুরের মানকাপুর এলাকায় একটি নার্সিং হোম চালান ওই চিকিৎসক। ওই নার্সিংহোমে শিশু কন্যার জন্ম দিয়েছিলেন এক মহিলা। সেখান থেকে শিশু কন্যাকে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই চিকিৎসকের গত শুক্রবার গ্রেফতার করেছে।

শিশু কন্যার মায়ের অভিযোগ, মানকাপুরের বাসিন্দা এক যুবক তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল। এরপরেই গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই মহিলা। প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে ২০২২ সালের মার্চ মাসে নাগপুরের ওই হাসপাতালে মহিলাকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ২০২২ সালের এপ্রিলে তিনি এক শিশু কন্যার জন্ম দেন। তখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিছুদিন পর অভিযুক্ত চিকিৎসক মহিলাকে নার্সিংহোম থেকে ছেড়ে দেন। তবে নবজাতককে নার্সিংহোমেই রেখে দেন চিকিৎসক। তিনি মহিলাকে জানান, শিশুর চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তাই চিকিৎসকের কথামতোই সদ্যোজাতকে নার্সিংহোমে রেখে বাড়ি চলে যান ওই মহিলা। পরে নার্সিংহোমে গিয়ে তিনি আর শিশুর খোঁজ পাননি। মহিলা জানতে পারেন, তাঁর শিশুকে পাচার করা হয়েছে। এরপরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। এদিকে, বিষয়টি জানার পরে মহিলার সঙ্গী তার ওপর অত্যাচার করতে শুরু করে। ঘটনায় মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, তোলাবাজি, হুমকি এবং মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই চিকিৎসক গোধানি গ্রাম পঞ্চায়েতে মেয়েটির জন্ম নিবন্ধন করার জন্য জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। শিশুর জন্মের কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে বিক্রি করে দেন ওই চিকিৎসক। অবশেষে পুলিশ বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুটিকেও উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়। শনিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে এর আগেও শিশু পাচারের অভিযোগ উঠেছে। গত মে মাসে মহারাষ্ট্রের উলহাসনগরে এক নার্সিংহোমের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ২২ দিনের শিশুকে ৭ লক্ষ টাকায় বিক্রি অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই চিকিৎসক এর আগেও বহু শিশু পাচার করেছিল বলে পুলিশ জানতে পারে। এদিনের ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক অন্য কোনও শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।