আশেপাশে কোন দর্শনীয় স্থান নেই, নেই কোনও রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর বা তীর্থস্থান। তারপরেও সেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে একের পর এক গেস্ট হাউস, হোটেল। আর রাত হলেই এই সমস্ত গেস্ট হাউস, হোটেলগুলিতে ভিড় করছে যুগলরা। এমনই ছবি দক্ষিণ কলকাতার কসবা, রাজডাঙা, হালতু এলাকায়। এই গেস্ট হাউসগুলি এখন মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের কাছে। তাদের অভিযোগ, রাত হলেই যুগলদের ভিড় বাড়ছে এই সমস্ত গেট গেস্ট হাউসে। এর ফলে এলাকার সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা কাউন্সিলরকে অভিযোগে জানিয়েছেন। গেস্ট হাউস নিয়ে শুধু স্থানীয়রাই নন, চিন্তিত খোদ এলাকার কাউন্সিলর। তাঁর অভিযোগ, এই সমস্ত গেস্ট হাউসে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে।
শনিবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর লিপিকা মান্না। তিনি অভিযোগ করেছেন, এলাকায় পাশাপাশি একের পর এক গেস্ট হাউস গজিয়ে উঠেছে। আশেপাশের কোনও বিমানবন্দর, তীর্থস্থান, দর্শনীয় স্থান বা রেল স্টেশন নেই। তারপরেও কেন সেখানে গেস্ট হাউস গজে উঠছে? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। এমনকী স্কুলের পাশেও গেস্ট হাউস তৈরি হয়েছে। পুর অধিবেশনে এই সমস্ত গেস্ট হাউসগুলির তালিকা নিয়ে হাজির হন কাউন্সিলর। তাঁর অভিযোগ, এই সমস্ত এলাকায় প্রায় ১০০টির মতো গেস্ট হাউস গজিয়ে উঠেছে। তার মধ্যে ৬৮ টি গেস্ট হাউসের তালিকা তিনি নিয়ে আসেন। গেস্ট হাউসের ফলে এলাকার সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে চারজন স্থানীয় বাসিন্দা চিঠি দিয়েছেন বলে জানান কাউন্সিলর। এই অভিযোগ জানানোর পর কাউন্সিলর সমস্যার সুরাহা চেয়ে আবেদন জানান।
পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে পুরসভার কিছু করার নেই। কারণ এ নিয়ে পুরসভার হাতে আইন নেই। ফলে চাইলেই এই সমস্ত গেস্ট হাউস বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে চেয়ারপার্সন মালা রায় কাউন্সিলরকে গেস্ট হাউসের তালিকা জমা দিতে বলেছেন। আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, গেস্ট হাউসের ব্যবসা প্রচুর লাভজনক। কোনও হোটেলে উঠতে গেলে যুগলদের অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু, গেস্ট হাউসে সেই সমস্যা থাকে না। ফলে যুগলরা সেখানে ভিড় করে। পুরসভার সূত্রে খবর, শুধুমাত্র নারকেলডাঙাতেই ২০টি গেস্ট হাউস তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে অনেক গেস্ট হাউস আবার কম জমিতেও তৈরি হয়েছে। কেএমডির তরফের এই জমি দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই জমিতে এখন গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে।