Nilachal Express: বেঁকে গিয়েছিল রেললাইন, চালকের তৎপরতায় বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল নীলাচল এক্সপ্রেস

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার রেশ ফুরোয়নি এখনও। এখনও সেই স্মৃতি অনেকের কাছেই দগদগে। তার মধ্য়েই সামনে এল ভয়াবহ খবর। আর একটু হলেই বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ছিল নীলাচল এক্সপ্রেস। তবে লোকো পাইলটের তৎপরতায় কোনও রকমে রক্ষা পায় ট্রেনটি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে রেললাইনটি বেঁকে গিয়েছিল। কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি। এদিকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে কীভাবে দুর্ঘটনা হয়েছিল তার কোনও কারণ এখনও নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। এনিয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে। কিন্তু তার মধ্য়ে ফের রেলের সুরক্ষাকে ঘিরে বিরাট প্রশ্ন সামনে এল। লখনউয়ের নিগোহান স্টেশনের এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এদিকে করমণ্ডল দুর্ঘটনার রেশ ফুরোয়নি এখনও। প্রচুর পরিবার বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে এই ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে। কিন্তু তারপরেও কি হুঁশ ফেরেনি রেল কর্তৃপক্ষে। করমণ্ডল দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে জানা যায় সিগন্য়ালের কোনও সমস্যার জেরে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। লুপলাইনে ঢুকে মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। একেবারে ভয়াবহ ঘটনা।

আর এদিন নীলাচল এক্সপ্রেসও আর একটু হলে বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ছিল। কিন্তু চালকের তৎপরতার জেরে অবশেষে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি।

কিন্তু রেললাইন বাঁকল কীভাবে? অনেকের মতে, এই রেললাইন বেঁকে যাওয়ার জেরে আর একটু হলেই ট্রেন বেলাইন হতে পারত। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে প্রচন্ড তাপে রেললাইন বেঁকে গিয়েছিল। সূত্রের খবর, নিগোহান স্টেশনে ঢোকার ঠিক মুখে লুপ লাইনে কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছিল। এরপর আর ঝুঁকি নেননি লোকো পাইলট। তিনি দ্রুত ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেন। তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেন চালক ইলেকট্রিকের শক খান বলে দাবি করা হচ্ছে। এরপরই চালক স্টেশন মাস্টারের কাছে খবর পাঠান। দ্রুত রেললাইন ঠিক না করলে আরও ট্রেন এই লাইনে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে। সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি রেল। দ্রুত সেই বেঁকে যাওয়া অংশটি মেরামত করার জন্য় নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। বেলাইনও হতে পারত ট্রেন। কিন্তু চালকের তৎপরতায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল ট্রেনটি। প্রশ্ন উঠছে তবে কি রেলপথে নজরদারি তলানিতে উঠেছে? তার জেরেই বার বার রেল সুরক্ষা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে?