Jungle closed for 3 months: গরুমারা, জলদাপাড়া সহ সমস্ত জঙ্গলের দরজা বন্ধ হল পর্যটকদের জন্য, হবে না সাফারি

গরুমারা কিংবা জলদাপাড়া। জঙ্গল সাফারির প্রতি পর্যটকদের একটা আলাদা আকর্ষণ থাকে। কোথাও জিপে চেপে, কোথাও আবার হাতির পিঠে চেপে জঙ্গল ভ্রমণ। সেই টানেই পরিবার নিয়ে ফি বছর ডুয়ার্সে ছুটে যান হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও ১৫ জুন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল জঙ্গলের গেট। অর্থাৎ জঙ্গল সাফারিও করা যাবে না আর। তবে নিয়ম মেনে আবার ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গলের দরজা খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য। এটাই নিয়ম। তারপর থেকে আবার হাতি সাফারি, জঙ্গল সাফারি চালু হতে পারে। কিন্তু জানেন কি কেন প্রতি বছর কেন তিন মাসের জন্য় জঙ্গল বন্ধ রাখা হয়?

সূত্রের খবর, আসলে এই বর্ষার সময়টা বন্য জীবজন্তুদের প্রজননের সময় বলে ধরে নেওয়া হয়। এই সময় জঙ্গল সাফারি হলে তাদের সমস্যা হতে পারে। সেকারণে জঙ্গলের বন্য জীবজন্তু যাতে নিশ্চিন্তে প্রজনন করতে পারে সেকারণে এবারও জঙ্গল বন্ধ করা হল পর্যটকদের জন্য।

জঙ্গলের কোর এরিয়া ঘেঁষা যে বন বাংলোগুলি রয়েছে সেখানেও কার্যত যেতে পারবেন না পর্যটকরা। জলপাইগুড়ি বনবিভাগ ইতিমধ্য়েই জঙ্গল বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে।

বর্ষাকালে একেবারে সবুজে সবুজ হয়ে ওঠে জঙ্গল। টানা বৃষ্টি, বেড়ে ওঠা গাছপালা, জঙ্গলের ভেতর থাকা ঝোরাগুলিতে জলে ভর্তি হয়ে ওঠে। বন্য জীবজন্তুদের কাছে এই সময়টা খুশির সময়। সেই খুশিতে ছেদ পড়ুক এটা চায় না বনদফতর। বন্য জন্তুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য় নানা উদ্যোগ বনদফতরের। কারণ ওই জঙ্গল তো বন্য জন্তুদেরই। হাতি, গন্ডার, ময়ুর, বাইসন সহ বিভিন্ন বন্য জন্তু দেখার সুযোগ আপাতত মিলবে না। তার জন্য আপনাকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

উত্তরবঙ্গের গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপড়ামারি, জলদাপাড়া, বক্সা, নেওড়া ভ্য়ালি সহ নানা জঙ্গলের দরজা পর্যটকদের জন্য় বন্ধ থাকে এই তিনমাস। তবে সেপ্টেম্বর মাসে মাঝামাঝি যখন জঙ্গল খোলে তখন তার রূপ একেবারেই অন্যরকম। সাধারণত পুজোর আগেই প্রতিবার জঙ্গল খুলে যায়। আর সেই সময় ঢল নামে পর্যটকদের।

তবে ডুয়ার্সের পর্যটন অনেকটাই জঙ্গল নির্ভর। সেক্ষেত্রে এই তিন মাস জঙ্গল বন্ধ থাকলে পর্যটকদের আনাগোনা কিছুটা কমতে পারে। এত পর্যটন ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে। তবে বন্য জীবজন্তুদের জন্য এই সময় জঙ্গল বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা সবার আগে। সেকারণে পর্যটকদের কিছুটা সমস্য়া হলেও এই সময় জঙ্গল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান অনেকেই। তবে কিছু বিকল্প জায়গায় এই সময় ডুয়ার্সে বেড়ানো যেতেই পারে।