সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জমি ‘দখলের’ চেষ্টার অভিযোগ! নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরেরও অভিযোগ

কলকাতা: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) জমি ‘দখলের’ চেষ্টা! বাটানগরে (Batanagar) সৌরভের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করে গেট ভেঙে ঢোকার অভিযোগ। 

বাটানগরে বহুদিন ধরেই প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক তথা বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি জমি রয়েছে। সেই জমিতে সৌরভ একটি স্কুল খুলতে আগ্রহী বলেই শোনা যায়। সেই এলাকার দুষ্কৃতিদের সঙ্গে বহুদিন ধরেই ওই জমি ঘিরে বিবাদ বচসা ছিল। অতীতেও একাধিকবার একই ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। দুষ্কৃতিদের বারংবার মানা করা হলেও, তাতে কর্ণপাত করেনি কেউই। এবার সেই বিবাদই তুঙ্গে পৌঁছল।

তারা ঘেরা জমির তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে অসামাজিক কাজকর্ম করতে উদ্যত হন বলেই অভিযোগ। এমন সময় বাধা দিতে গিলে জমির নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাধে এবং তারপরেই তাদেরকে দুষ্কৃতিরা মারধর করেন বলেই অভিযোগ। এখানেই দুষ্কৃতিরা থামেননি। দুষ্কৃতিরা সৌরভের আত্মসহায়ক তানিয়া ভট্টাচার্যকে ফোন করে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ উঠছ। এই গোটা ঘটনায় সৌরভ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। সৌরভের দফতর থেকে মহেশতলা থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে বলে সৌরভকে আশ্বাস দিয়েছে। 

তাঁদের দুজনের সম্পর্ক নিয়ে নানারকম জল্পনা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ও বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। জাতীয় দলের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক। কেউ কেউ বলেন, বিরাটকে নেতৃত্ব থেকে সরাতে প্রধান ভূমিকা ছিল সৌরভেরই। সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কোহলি নিজেও জানিয়েছিলেন যে, তিনি নেতৃত্ব ছাড়ছেন শুনেও বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কোনও অনুরোধ করা হয়নি। সৌরভ বা বোর্ড কর্তারা যদিও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সত্যি বলছেন না কোহলি!

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের পর কি ব্যাটার কোহলিকে নিশানা করলেন সৌরভ? সৌরভ মনে করেন, আইসিসি ইভেন্টের নকআউট ম্যাচ জিততে আগ্রাসনের সঙ্গে পারফরম্যান্সেরও দরকার রয়েছে। ভারতকে আইসিসি ইভেন্ট জিততে হলে এই দুটো বিষয়কে মেলাতে হবে।

স্টার স্পোর্টসের শো ‘ফলো দ্য ব্লুজ’-এ একটি কথোপকথনের সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নকআউট পর্বে ম্যাচ জিততে ভারতকে কী করতে হবে? সৌরভ বলেন, ‘আগ্রাসন ঠিক আছে। কিন্তু সেই সঙ্গে আপনার পারফরম্যান্সও দরকার। আপনি যদি ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পাঁচ-ছয় বছর দেখেন, ভারতের ব্যাটিং বড়-বড় ভেন্যুতে ৫০০-৬০০ রান করেছে। সেটা সিডনি, ব্রিসবেন, হেডিংলি, নটিংহ্যাম, ওভাল যে মাঠই হোক না কেন। এমনকী পেশোয়ার, ইসলামাবাদ বা লাহৌর সব জায়গাতেই এটা করেছিল ভারত। এই কারণে তারা প্রতিপক্ষ দলকে চাপে ফেলেছিল।’

এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial

আরও পড়ুন: ত্বকের এক্সফোলিয়েশন কেন প্রয়োজন? সপ্তাহে কদিন স্ক্রাব করবেন?