Happy Birthday Rahul Gandhi: জোটের মিটিংয়ের আগে রাহুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা মমতার, নতুন নাটক? খোঁচা সিপিএমের

তন্ময় চট্টোপাধ্যায়

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পটনায় আগামী ২৩ জুন বিরোধী জোট নিয়ে বড় মাপের মিটিং। তার আগে রাহুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা মমতার। তবে কি জোট মিটিংয়ের আগে ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

৫৩ বছরে পড়লেন রাহুল গান্ধী। আর সেই শুভদিনে রাহুল গান্ধীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লিখেছেন, রাহুল গান্ধীজিকে অন্তর থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আগামী বছরটা খুব সুন্দর কাটুক। সন্ধ্যা ৭টা ৩৬ মিনিটে এই টুইট করেছেন মমতা।

মমতার এই টুইট জাতীয় রাজনীতিতে এক অন্য়রকম বার্তা দিচ্ছে। যে রাহুল গান্ধীকে কার্যত ধর্তব্যের মধ্যে রাখতেন না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, যে কংগ্রেসের কর্ণাটক জয়ের পরেও রাহুলের নাম উল্লেখ করতেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই রাহুল গান্ধীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে কি জাতীয় রাজনীতিতে রাহুলের নেতৃত্ব মেনে নেবেন মমতা? নাকি এটাও একটা কৌশল?

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর উদ্দেশ্য সাধনের জন্য় অবস্থান বদলানোর জন্য আগে থেকেই পরিচিত। এই টুইটটা তারই প্রতীক। দেখা যাক এটা কর্ণাটকের ফলাফলের প্রকাশ নাকি নতুন কোনও নাটক।

মুখ খুলেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটা পুরানো অভ্যাস রয়েছে যে সামনে খারাপ দিন দেখলেই তিনি মাথা ঝুঁকিয়ে দেন। তবে তার এই জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিয়ে বেশি কিছু বলব না। কিন্তু আমরা একটা কথাই বলব শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

 

আর মমতার টুইট প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেন, বিরোধীরা কী চেষ্টা করছেন সেটা কোনও ব্যাপার নয়। আমরা শুধু জানি ২০২৪ সালে পরবর্তী স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতিকে সম্ভাষণ করবেন যিনি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিকে মমতার এই শুভেচ্ছাবার্তার টুইটের কমেন্টে এক নেটনাগরিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, বিরোধী জোটে আপনার মূল্যবান সাপোর্ট চায় জনতা। আপনি বিজেপিপন্থী হয়ে যাবেন না। আপনি কংগ্রেস থেকেই রাজনীতি শুরু করেছিলেন। কংগ্রেসের কাছে আপনার অনেক ঋণ আছে। এখন যদি সেটা শোধ না করেন তবে অনেক দেরি হয়ে যাবে।