Indigo buying 500 planes from Airbus: বিশ্বের ইতিহাসে সবথেকে বড় অর্ডার! এয়ারবাসের থেকে একসঙ্গে ৫০০ বিমান কিনবে Indigo

ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণের ইতিহাসে ২০২৩ সালটা মাইলস্টোন হয়ে গেল। কারণ কয়েক মাসের ব্যবধানে বিশ্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাণিজ্যিক বিমানের অর্ডার দিল ভারতের দুটি উড়ান সংস্থা। গত ফেব্রুয়ারিতে এয়ারবাস এবং বোয়িংকে একলপ্তে ৪৭০টি বিমানের অর্ডার দিয়ে ইতিহাস গড়েছিল টাটা সনসের মালিকাধীন এয়ার ইন্ডিয়া। চার মাস কাটতে না কাটতেই সেই রেকর্ড ভেঙে দিল অপর  ইন্ডিগো। একসঙ্গে ৫০০টি এয়ারবাস এ৩২০ বিমানের অর্ডার দিল ওই উড়ান সংস্থা। যা বিশ্বের অসামরিক বিমান ক্ষেত্রে একলপ্তে সবথেকে বড় অর্ডার। স্বভাবতই মার্কিন সংস্থা এয়ারবাস কখনও একসঙ্গে এতগুলি বিমানের বরাত পায়নি।

২০২৩ সালের প্যারিস শো’র মধ্যেই সেই ঐতিহাসিক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ইন্ডিগোর প্রোমোটার অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল ভাটিয়া, ইন্ডিগোর চেয়ারম্যান ও নন-এক্সিকিউটিভ ইন্ডিপেন্ডেট ডিরেক্টর বেঙ্কটরামানি সুমন্ত্রণ, ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবর্স, এয়ারবাসের সিইও, এয়ারবাসের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার ও হেড অফ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান শেহরের। সেই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, ২০৩০ সাল থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতীয় উড়ান সংস্থার হাতে ওই ৫০০টি বিমান তুলে দেবে মার্কিন সংস্থা। তার ফলে নয়া দশকে ইন্ডিগোর কাছে প্রায় ১,০০০টি বাণিজ্যিক বিমান থাকবে।

আরও পড়ুন: মারুতির সেল বাড়লেও বিক্রি হচ্ছে না Ciaz! কারণ জানলে অবাক হবেন

এমনিতে এয়ারবাসের সঙ্গে ইন্ডিগোর দীর্ঘদিনের যোগসূত্র আছে। ২০১৬ সালের মার্চে প্রথম এয়ারবাস৩২০ নিও হাতে পেয়েছিল। আপাতত ইন্ডিগোর হাতে ২৬৪টি এয়ারবাস৩২০ নিও আছে। সবমিলিয়ে ইন্ডিগোর হাতে আছে ৩০০টির বেশি বিমান। যে তালিকায় এয়ারবাস৩২০ নিও ছাড়াও আছে এয়ারবাস৩২১ নিও এবং এয়ারবাস৩২১ এক্সএলআর। যা বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতিতে উত্থান হওয়া উড়ান সংস্থার মধ্যে আছে এবং আগামাদিনে ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে ছড়ি ঘোরাতে চাইছে।

আরও পড়ুন: AC bill saving tips: ১৮-তে AC না চালিয়ে এই তাপমাত্রা রাখুন, ৩০% কমবে বিদ্যুতের বিল, লাগবে না গরমও

কেন এয়ারবাস৩২০ বেছে নিল ইন্ডিগো? 

আপাতত বিশ্বজুড়ে অন্যতম সেরা বিমানের তালিকায় আছে এয়ারবাস৩২০ গোত্রের বিমান। যে বিমানে একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আছে। গুরুত্বপূর্ণ বায়ুগতিবিদ্যা, অত্যাধুনিক প্রজন্মের জেট ইঞ্জিনের কারণে এয়ারবাস৩২০ গোত্রের বিমানের ব্যাপক চাহিদা আছে। ওই জেট ইঞ্জিনের কারণে কম জ্বালানি খরচ হয়। দূষণও কমে যায়। সেজন্য এয়ারবাস৩২০ গোত্রের বিমানের দিকে ঝুঁকে আছে বিশ্বের তাবড়-তাবড় উড়ান সংস্থা। আপাতত বিশ্বের ১৩০টি ক্রেতার থেকে এয়ারবাস৩২০ গোত্রের বিমানের ৮,৭০০টি বরাত পেয়েছে ওই মার্কিন সংস্থা।