Fine for Praying on the Side of the Road: আবু ধাবির হাইওয়ের ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নমাজ পড়লেই জরিমানা! অঙ্কটাও বিশাল

এমন দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল আবু ধাবির রাস্তার ক্ষেত্রে। বিশেষ করে হাইওয়ের ধারে যত্রতত্র দেখা যাচ্ছিল বহু গাড়িচালক গাড়ি থামিয়ে নমাজ পড়তে বসছেন। শুধু তাই নয়, প্রার্থনা হয়ে যাওয়ার পরেও সেটির অজুহাত দিয়ে তাঁরা নানা কাজ করে চলেছিলেন। এতেই বিপর্যস্ত হচ্ছিল যান চলাচল। এমনকী পথচারিদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। আর সেই কারণেই নিযেধাজ্ঞা জারি হল রাস্তার ধারে চিহ্নিত নয়, এমন জায়গায় নমাজ পড়ার ক্ষেত্রে। 

সংবাদসংস্থা গাল্ফনিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে আবু ধাবির পুলিশ খুবই কড়া পদক্ষেপের কথা ভেবেছে। কারণ নমাজ পড়ার কথা বলে অনেকেই আরও নানা ধরনের কাজ সেরে নিচ্ছিলেন রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে। তাই এভার থেকে সব কিছুই বন্ধ করা হচ্ছে হাইওয়েতে। না হলে দীর্ঘ যানজটের শিকার হচ্ছে এই শহর। 

(আরও পড়ুন: রাতে ঘুম আসছে না? যোগাসন দিবস থেকেই শুরু করুন এই যোগগুলি, কমবে সমস্যা)

এই নিয়ম ভাঙলে রীতিমতো মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। সেটিও জানানো হয়েছে আবু ধাবির পুলিশ সূত্রে। ভারতীয় টাকায় হিসাব করলে যা পৌঁছোতে পারে ২২ হাজার টাকায়। তবে এর কিছু নির্দিষ্ট ধাপও আছে। সব ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক সমান নয়। হাইওয়ের ক্ষেত্রে তা এক রকম, দুই রাস্তার সংযোগস্থলের ক্ষেত্রে আর এক রকম। যে সব জায়গায় পথচারিদের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেই সব জায়গায় আরও এক রকমের জরিমানার অঙ্ক বসানো হয়েছে। তবে সর্বাধিক ১০০০ দিনার (ভারতীয় অঙ্কে যেটি ওই ২২ হাজার টাকার মতো) জারি হয়েছে এই জরিমানার ক্ষেত্রে।   

(আরও পড়ুন: গান গাইতে গাইতে ট্রাপিজের খেলা! হঠাৎ পড়ে গিয়ে বীভৎস চোট গায়িকার, Viral Video)

লেফটেন্যান্ট সালাহ আবদুল্লাহ আল হুমাইরি, যিনি আবু ধাবি ট্রাফিক বিভাগের সহকারি ডিরেক্টর, তিনি বলেছেন, দির্ঘটনা এড়াতেই এমন চরম পদক্ষেপ। তাঁর বক্তব্য, যাঁরা নমাজ পড়তে চান, তাঁরা যেন নমাজকক্ষ, মসজিদ বা নির্ধারিত স্থানগুলিই ব্যবহার করেন। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নমাজ না পড়েন। তবে হাইওয়ের ক্ষেত্রে গাড়ি দাঁড়ি করিয়ে আপত্তি থাকলেও, লোকালয়ের ভিতরে পার্কিংয়ের জায়গায় গাড়ি রেখে, সেখানে নমাজ পড়ার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তেমনও বলা হয়েছে আবু ধাবির পুলিশ সূত্রে।