Titanic: ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাচ্ছিলেন পাক ধনকুবের, নিখোঁজ মাঝসমুদ্রে

নিশা আনন্দ

উত্তর আটলান্টিকে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের অবশিষ্ট অংশের খোঁজে গিয়েছিল একটি টিম। আসলে এটাও পর্যটনের একটা অঙ্গ। সমুদ্রের গভীরে থাকা সেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ একবার নিজের চোখে দেখে আসা। সেটাই দেখতে যাচ্ছিলেন তারা। তার মধ্য়ে পাকিস্তানের এক ধনকুবের ব্যবসায়ী, তাঁর ছেলে সহ অন্যান্যরা ছিলেন। কিন্তু তাদের আর খোঁজ মিলছে না। ওশান গেট এক্সপিডিশন নামে একটি সংস্থার উদ্য়োগে ওই অভিযান শুরু হয়েছিল। ২১ ফুট লম্বা একটি পর্যটন জলযান নিয়ে বেরিয়েছিলেন তারা। রবিবার তারা বেরিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ঘণ্টা দুয়েক পর থেকেই তাদের আর খোঁজ মিলছে না। তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবেই আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।  খবর এএফপি সূত্রে। 

ব্য়বসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কংগ্লোমেরাট এনগ্রো নামে একটি সংস্থার সদর দফতর হল করাচিতে। তারই ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদা দাউদ। তার ছেলের নাম সুলেমান। তাঁরা দুজনেই ছিলেন ওই জাহাজে। সেখানে ৯৬ ঘণ্টার মতো অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই ডুবোজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। একাধিক সরকারি এজেন্সি ইতিমধ্য়ে তল্লাশি শুরু করেছে। একাধিক কোম্পানি ইতিমধ্য়েই তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। 

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে বন্ধুরা, সহকর্মীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। এখন ভালোয় ভালোয় ওরা ফিরে আসুন এটাই চাইছি। বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ। 

এদিকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ওই ব্যবসায়ীর লেনদেন রয়েছে। মূলত শক্তিসম্পদ, কৃষি, পেট্রো কেমিক্যাল, টেলিকমিউনিকেশন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওই কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২২ এর শেষের দিকে ওই কোম্পানি ৩৫০ বিলিয়ন রেভিনিউয়ের কথা জানিয়েছিল। 

শাহাজাদার বাবা হুসেন দাউদকে বহু দিন ধরে পাকিস্তানের ধনীতম ব্যক্তি বলে গণ্য করা হত। এদিকে শাহাজাদার প্রোফাইল অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি আমেরিকা ও ব্রিটেনে পড়াশোনা করেছেন। 

এদিকে উত্তর আটলান্টিক সাগরে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক।  প্রায় ১৩,০০০ ফুট সমুদ্রের গভীরে চলে যায় এই বিশাল জাহাজ। কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিমি দূরে টাইটানিক ডুবে গিয়েছিল। সেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতেই ওখানে যাওয়ার কথা ছিল। সেই অ্য়াডভেঞ্চার টিমের সদস্য ছিলেন তারা। ওই নিখোঁজ জাহাজে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিংও ছিলেন। তিনিও অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বলেই পরিচিত।