Kalighat Skywalk: বর্ষার আগে কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়

দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়। এই কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল এ বছরের এপ্রিলে। তবে প্রতি পদে বাধার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি বরাত প্রাপ্ত নির্মাণকারী সংস্থা। এই অবস্থায় ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য নির্মাতা সংস্থাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে বর্ষা চলে আসায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এপ্রিলে কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনে নির্মাণকারী সংস্থাকে সরিয়ে পূর্ত দফতরকে দিয়ে বাকি কাজ করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন এরপরে ফিরহাদ হাকিম নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে তড়িঘড়ি কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। মুখ্য সচিবঅবএ নিয়ে একাধিক শীর্ষ অধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতি নিয়ে রিভিউ বৈঠক হয়েছে। 

 স্কাইওয়াকের কাজ করতে গিয়ে পদে পদে নির্মাণকারী সংস্থাকে যেভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ যেখান দিয়ে স্কাইওয়াক নির্মাণ হচ্ছে সেখানে মাটির নিচে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন নিকাশি নালা। মাস খানেক আগেই সেখানে কাজের জন্য একটি নিকাশি নালা ফেটে যায়। এখন সেই নিকাশি নানা পাইলিংয়ের কাজ চলছে। নির্মাণকারী সংস্থার বক্তব্য চলতি মাসে সেই কাজ শেষ হবে। তাতেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়নি বলে দাবি ওই সংস্থার। তবে বর্ষা চলে আসায় ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় বহু পুরনো পাইপলাইন থাকার পাশাপাশি এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এরফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ওই সংস্থাকে। কালীঘাট স্কাইওয়াকের দৈর্ঘ্য হবে ৫০০ মিটার এবং চওড়া হবে ১০ মিটার। এই স্কাইওয়াক তৈরিতে ৮০ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। কালীঘাট মন্দির থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোডের দিকে যাবে এই স্কাইওয়াক। যদিও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রতন কুমার দাস। তিনি জানান, নবান্নে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। তবে বৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।