Democrats on Modi: ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে মোদীকে বলুন’, বাইডেনকে চিঠি প্রমীলা জয়পাল সহ ৭৫ আইন প্রণেতার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব দলের আহ্বানেই সেদেশের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কংগ্রেসে বক্তৃতা করার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানায়নি রিপাবলিকান, ডেমোক্র্যাট কোনও পক্ষই। তবে এবার বাইডেন প্রশাসনের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করলেন ডেমোক্র্যাটরাই। জানা গিয়েছে বাইডেনের দলের ৭৫ জন সেনেটর এবং হাউজ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাঁর কাছে আবেদন করেছেন যাতে মোদীর সঙ্গে আলোচনার সময় ভারতে র্মীয় অসহিষ্ণুতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি উত্থাপিত করা হয়। এই নিয়ে মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে একটি চিঠি লেখেন মার্কিন আইন প্রণেতারা।

হাউজ রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রমীলা জয়পাল এবং ডেমোক্র্যাট সেনেটর ক্রিস ভ্যান হলেনের নেতৃত্বাধীন এই গোষ্ঠীর লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতের কোনও নির্দিষ্ট দল বা নেতাকে আমরা সমর্থন করি না। সেটা বেছে নেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় জনগণের। তবে আমেরিকার বিদেশ নীতির গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলির সমর্থন করি আমরা। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় যেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়গুলি তাঁর সামনে তুলে ধরেন। দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ এদিকে মোদীর মার্কিন সফরের সময় আমেরিকার বহু মানবাধিকার গোষ্ঠী প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করছে। অপরদিকে ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতাদের চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘বহু নিরপেক্ষ রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে, ভারতের রাজনৈতিক পরিসর ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। সেখানে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। সামাজিক সংগঠন এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। বন্ধু হলে উদ্বেগের বিষয়গুলি তুলে ধরা উচিত সামনের জনের কাছে।’

উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকের তালিকায় এবছরই ১১ ধাপ নীচে নেমেছে ভারত। ‘রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্স’-এর এক সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে সাংবাদিকতার পরিস্থিতি ‘খুব বাজে’ পর্যায়ে। মোট ১৮০টি দেশকে নিয়ে সংকলিত এই তালিকায় ভারত বর্তমানে ১৬১তম স্থানে। তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের থেকেও নীচে ভারত। এদিকে ভারতের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ইস্যুটি বহুবার মার্কিন রিপোর্টে উল্লেখিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে উত্তাল হয়েছিল দেশ। সেই সময় মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক মুসলিম দেশ ভারতের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিল। এছাড়াও বর্তমান সরকারের অধীনে দেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থান নিয়ে বারংবার বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এই কয়েকদিন আগেই এটা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছিল আল-জাজিরা। তবে সেই তথ্যচিত্র ভারতে আপাতত সম্প্রচারিত হচ্ছে না। এর আগে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তথ্যচিত্র ব্যান হয়েছিল ভারতে। এদিকে সিএএ, এনআরসি নিয়ে দেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলনও হয় দেশে।